‘শাম্মী ছিল খুব শান্ত প্রকৃতির। সব সময় চুপচাপ থাকতো। বন্ধুদের সঙ্গেও মিশতো কম। গত কয়েকদিন ঠিকঠাক ক্লাসে আসতো না। জিজ্ঞাসা করলে বলতো- ভালো লাগে না, শরীর খারাপ। এর বেশি কখনো কিছু বলেনি।’
রোববার সমকালকে এসব কথা বলেন সাবরিনা রহমান শাম্মীর বান্ধবী আকলিমা খাতুন। আজ ভোরে রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠেরপুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি মেস থেকে শাম্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শাম্মী যশোর জেলার চৌগাছা থানার নারায়ণপুর গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে।
শাম্মীর বান্ধবী বলেন, শাম্মী ক্লাসে কম কথা বলতো এবং অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতো কম। তার বয়ফ্রেন্ড ছিল শুনেছি। কিন্তু ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যার বিষয়টি সঠিক নয়।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ভোর পাঁচটায় ঘটনা শোনা মাত্রই আমি সূত্রাপুর থানায় যায়। প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পেরেছি বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আত্মহত্যার নেপথ্যের আসল ঘটনা জানা যায়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।