ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্ররা
Published: 4th, February 2025 GMT
ফেনীর পরশুরামে মহি উদ্দিন সুজন (৩৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে বনিক সমিতির সভা থেকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সুজন পরশুরাম পৌরসভার সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পরশুরাম বাজারে তার একাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক।
আরো পড়ুন:
কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
বরিশালে যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কাটল দুর্বৃত্তরা
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে বণিক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুজন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা সভায় তাকে দেখে চলে যেতে বলেন। এসময় সুজন তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে ছাত্ররা সেখানে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সহায়তায় সুজনকে আটক করে পুলিশ খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে পরশুরাম মডেল থানায় নিয়ে যায়।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মহিপালে ছাত্র হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “গ্রেপ্তার সুজনকে মহিপালে ছাত্র হত্যা মামলায় আদালতের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।