আল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন নবী সোলায়মান (আ.)
Published: 10th, February 2025 GMT
একবার হজরত সোলায়মান (আ.) আল্লাহর কাছে একটি দোয়া করেছিলেন। দোয়াটি আল্লাহর কাছে এত ভালো লেগেছিল যে তিনি দোয়াটি কবুল করে নিয়ে তার মনের আশা পূরণ করে দেন। দোয়াটি কোরআনেও আছে, ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়াহাবলি মুলকাল্ লায়ামবাগি লিআহাদিম মিন বাদি, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।’ মানে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করো, আর এমন এক রাজ্য আমাকে দান করো, আমি ছাড়া কেউ যার অধিকারী হতে পারবে না; তুমি তো মহাদাতা। (সুরা সাদ, আয়াত: ৩৫)
হজরত সোলায়মান (আ.
সোলায়মান (আ.)–এর দোয়া কবুলের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ‘তখন আমি বায়ুকে তার অধীন করে দিলাম, সে যেখানে ইচ্ছা সেখানে তাকে বয়ে নিয়ে যেত; আমি আরও অধীন করে দিলাম জিনকে, যারা সকলেই ছিল স্থপতি ও ডুবুরি। এবং আরও অনেককে জোড়া শিকল পরিয়ে।’ (সুরা সাদ, আয়াত: ৩৬-৩৮)
আল্লাহর প্রতি সর্বোচ্চ সুধারণা রেখে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। আর সে চাওয়া যত কঠিন কিংবা অসম্ভবই হোক না কেন তবু্ও চাইতে হবে। কোনো কিছু চাওয়ার সময় চিন্তায় আনতে হবে আল্লাহ এই চাওয়া কবুল করবেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা যখন আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করবে, তখন বড়ো জিনিস অর্থাৎ জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৭৯০)
আল্লাহ বলেছেন, বান্দা আমার সম্পর্কে যে রকম ধারণা পোষণ করে, আমি তার সঙ্গে সে অনুযায়ী আচরণ করি। (সে যদি ধারণা রাখে যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন, তার তাওবাহ কবুল করবেন, বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন, তাহলে তাই করি।) (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৮৮)
আরও পড়ুননামাজ পড়ার সময় সুরা আগে-পরে হলে কী করবেন২১ জানুয়ারি ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় চার মাজারে হামলার তিন দিন পর গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার আসাদপুর বাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসাদপুর–নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে ইব্রাহীম খলিল (২৪) ও আসাদপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে শহীদ উল্লাহ (৩৩)। আসাদপুরে ওই দুজনের দোকান আছে।
এ বিষয়ে হোমনার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে পৃথক চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দিন রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তাঁর বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কফিল উদ্দিনের ছেলে আলেক শাহের নাতি মহসিনের বিরুদ্ধে গত বুধবার সকালে ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মহসিনকে গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর ওই দিন সকালে প্রথমে মহসিনের বাড়িতে হামলা করে কফিল উদ্দিন শাহের মাজার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় একটি টিনশেড ও দুটি টিনের বসতঘরে ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে অন্য তিনটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।
হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত মহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার কুমিল্লার আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।