ছবি: প্রথম আলো

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী জন্মগতভাবে পুরুষ ছিলেন না প্রমাণে আদালতে প্রমাণ হাজির করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট জন্মগতভাবে পুরুষ ছিলেন না তার পক্ষে মার্কিন আদালতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপস্থাপনের পরিকল্পনা করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি। একটি মানহানির মামলায় তাদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিট দম্পতি জুলাই মাসে ডানপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওয়েন্স এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স তার মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রোফাইল বাড়াতে, আরো দর্শক পেতে এবং অর্থ উপার্জনের জন্য ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিটের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানহানিকর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

ওয়েন্স গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি ‘(তার)’ পুরো পেশাদার খ্যাতির ঝুঁকি নিয়ে বলছেন, ‘ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ আসলে একজন পুরুষ’ যার নাম জিন-মিশেল ট্রোগনেক্স। এরপর থেকে ওয়েন্স আটটি পর্বের পডকাস্ট সিরিজে এই দাবির পক্ষে নানা ধরনের কথা বলেছেন।

ম্যাক্রোঁদের আইনজীবী ক্লেয়ার লক বিবিসিকে জানিয়েছেন, ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ দাবিগুলোকে ‘অবিশ্বাস্যভাবে বিরক্তিকর’ বলে মনে করেছেন এবং এগুলো ফরাসি প্রেসিডেন্টের জন্য ‘বিব্রতকর।’

ক্লেয়ার বলেছেন, “বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য জৈব বৈজ্ঞানিক প্রকৃতির হবে।” 

তবে তিনি সাক্ষ্যের প্রকৃতি প্রকাশ করেননি। ক্লেয়ার জানিয়েছেন, ম্যাক্রোঁ দম্পতি ‘সাধারণভাবে এবং সুনির্দিষ্টভাবে সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করতে প্রস্তুত যে দাবিগুলো অসত্য।

তিনি বলেন, “এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য তার নিজেকে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু প্রচারকৃত বিষয়টি ভুল তা প্রমাণ করার জন্য যা করা দরকার তা করার জন্য তিনি দৃঢ়ভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্যে ব্রিজিটের গর্ভবতীর সময়কালের এবং তার সন্তানদের লালন-পালনের ছবি উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।

ম্যাক্রোঁদের মামলায় বলা হয়েছে,ট্রোগনেক্স হলেন ব্রিজিটের বড় ভাই এবং তিনি উত্তর ফ্রান্সের আমিয়েন্সে থাকেন। সেখানে তিনি ব্রিজিট এবং আরো চার ভাইবোনের সাথে বেড়ে ওঠেন। ৭২ বছর বয়সী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ তার স্বামীর চেয়ে ২৪ বছরের বড়। তার সাবেক স্বামীর সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে, যাদের জন্ম ১৯৭৫, ১৯৭৭ ও ১৯৮৪ সালে এবং সাতটি নাতি-নাতনি রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ