কালিহাতীতে ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
Published: 5th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মুলিয়া, সহদেবপুর ও সাকরাইল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি রফিক বলেন, “তিন গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কালিহাতী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০
হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০
তিনি আরো বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় দলীয়ভাবে সব কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, পৌর বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুল তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান লেলিন ও ইদ্রিস আলী, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ মেম্বার ও যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, বাংড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান গিয়াস।
গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের পীরবাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, বৈঠক চলাকালে শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ আহত হন। এ খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ব এনপ র স স ঘর ষ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিভিন্ন দাবি নিয়ে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম না’গঞ্জ মহানগরের মানববন্ধন
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, নিঃশর্ত বদলী, অবসর ও কল্যাণ ভাতা দ্রুত প্রদান, বৃত্তি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অংগশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও ধমশিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, কওমি সনদে সরকারি চাকুরি এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি আলতাফ হোসেন গাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম মহানগরের উপদেষ্টা মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জাতীয় ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ সভাপতি আব্দুল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আল মাহাতাব প্রমুখ
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার যে পরিস্থিতি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুসলমান হয়েও হিন্দুদের ধর্ম বিষয় জানতে হবে। মুসলমানদের ধর্মী বিষয় থাকা না থাকার কোনো বিষয় ছিলো না। কিন্তু হিন্দুদের ধর্মীয় বিষয় জানতে হবে এমন একটি বিষয় ছিলো।
বিগত সময় বাংলাদেশে যে কঠিন পরিস্থিতি গেছে এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনের জন্য বর্তমান সরকার কাছে দাবি জানাই শিক্ষাব্যস্থাকে উন্নত করার জন্য বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে হবে।
বক্তারা আরও বলেন , ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন হবার ৫৪ বছরে যে সকরার কায়েম হয়েছে। প্রত্যেকটি সরকারে ধারা এই দেশের মানুষের সাথে বৈষম্য শিকার হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকরা হচ্ছে জাতিগড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। কিন্তু কাক্ষিত ফল শিক্ষকরা পায় নাই।
এই মানববন্ধনে থেকে আমাদের দাবি হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় করণ করা এবং সকারি ভাবে প্রতিষ্ঠান গুলো যেভাবে বদলি হতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তার সাথে আরো দাবি জানাই অবসর ভাতা দ্রুত যাতে পেতে পারে তার দাবি জানাই। বৃত্তি পরীক্ষার আওতায় সকল ধর্মের ব্যবস্থা করতে হবে।