সোনারগাঁয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু
Published: 12th, March 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাবিবুর রহমান হবি (৩২) নামের এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাচঁপুর সেনপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক পাখায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুধবার সকালে মৃত্যু বরণ করেন।
নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার কাচঁপুর খাসপাড়া এলাকার মান্নান মিয়ার ছেলে এবং পার্শবর্তী সেনপাড়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ভাড়াটিয়া।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধায় নতুন ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়।
তার ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে। পরে বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, বিদ্যুৎ স্পর্শে শ্রমিক মারা যাওয়া বিষয়টি অবগত রয়েছেন। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল