কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে উত্তরপত্রসহ প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নির্দেশে কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “তদন্তের স্বার্থে উনার কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আবার খুলে দেওয়া হবে।” 

আরো পড়ুন:

সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

এ ব্যাপারে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত চলাকালে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ ওই ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

পরে এ নিয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা–বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ আজ বুধবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর এটি শফিকুর রহমানের সিলেটে প্রথম সফর। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশ ভ্রমণ করে দেশে ফেরেন। আজ সকালে বিমানবন্দরে সিলেট জামায়াতের নেতারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে জামায়াত অবস্থান থেকে সরে আসবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের ফর্মুলা হচ্ছে একাধিক দল থাকবে, একাধিক আদর্শ থাকবে। সবাই নিজ কর্মসূচি, আদর্শ ও দাবি নিয়ে আসবে। আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না। জনগণ বুঝলে আমরা বিশ্বাস করি এটা গ্রহণ করবে। গ্রহণ না করা পর্যন্ত যেহেতু এইটা আমরা জনগণের জন্য উত্তম মনে করি, সেই কারণে আমরা আমাদের দাবি অব্যাহত রাখব।’

নির্বাচনে জোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আসলে আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা কোনো জোট করব না, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা নির্বাচনে সমঝোতা করব। আমরা যে কথাটা বলেছি, প্রত্যেকটি জায়গায় একটা বাক্স হবে। সেই নীতিতেই আমরা আগাচ্ছি। এখানে শুধু ইসলামি দল নয়, ইসলামি দলের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক প্রতিশ্রুতিশীল আরও যারা আছেন, তাঁরাও ইতিমধ্যে সংযুক্ত হচ্ছেন। আরও সংযুক্ত হবেন ইনশাল্লাহ। আমরা সবাইকে নিয়েই দেশ গড়তে চাই।’

গণভোট প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমাদের অবস্থান হচ্ছে যে গণভোট না হলে কিসের ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচনটা হবে। এ জন্য আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং সনদ যেটা, সেটা আইনি বাস্তবতা খুঁজে পাক।’

অতীতে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘অতীতে যাঁরা এমনটি করেছেন, তাঁরা কেউ অতি উৎসাহী হয়ে করেছেন। আবার সেই অতি কেউ উৎসাহীদের সঙ্গে তাল মিলাইতে গিয়ে হয়েছে। কিন্তু জনগণ যখন জেগে উঠবে, তখন কারও তাল জায়গায় থাকে না, তখন সবাই বেতাল হয়ে পড়ে। তখন জনগণের ইচ্ছারই প্রতিফলন হয়। উনাদের যে ইচ্ছা, সেই ইচ্ছার আর প্রতিফলন হয় না।’

শফিকুর রহমান বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার জন্য নির্ধারিত সময়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারেননি। এ জন্য তিনি আরও ১৫ দিন নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির দাবি জানান। এ ছাড়া জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারলে প্রবাসীদের আনুপাতিক হারে সরকারের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে বলে জানান। পাশাপাশি সিলেটে যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জামায়াত সোচ্চার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন, সিলেট-৩ আসনের প্রার্থী লোকমান আহমদ, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ