বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে) চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং সব অ্যাডহক কমিটি চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বিলুপ্ত হবে—এমন পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ হতে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্রটি জারি করা হয়েছিল।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪–এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) সংশোধিত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিটটি করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো.

মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। নয়টি বোর্ড ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে। এতে দেখা যায় সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা—সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাবলিক সার্ভেন্ট ছাড়া কেউ হতে পারবে না, যা বৈষম্যমূলক। আগে সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে হতেন। প্রবিধানমালার সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধির বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়।

রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তসংক্রান্ত ৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠিত অ্যাডহক কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব সরক র আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেমড সেলে নয়: লিভ টু আপিল শুনানি ২৮ অক্টোবর

বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে নির্জন কারাবাসে (কনডেমড সেল) রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য ২৮ অক্টোবর দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এই দিন নির্ধারণ করেন।

এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে নির্জন কারাবাসে (কনডেমড সেল হিসেবে পরিচিত) রাখা যাবে না বলে গত বছরের ১৩ মে রায় দেন হাইকোর্ট। ঘোষিত রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে অন্য বন্দীদের মতোই দেখতে হবে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বা অন্য বন্দীদের নিরাপত্তার স্বার্থে, সংক্রামক রোগ, স্বাস্থ্যগত বিষয়সহ ব্যতিক্রম পরিস্থিতির কারণে তাঁকে কনডেমড সেলে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীকে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।

হাইকোর্টের সেই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত বছরের ১৫ মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত সিপি (লিভ টু আপিল) করতে বলেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ গত বছর নিয়মিত লিভ টু আপিল করে। আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় লিভ টু আপিলটি ৩৮ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি মেনশন (উত্থাপন) করা হলে আপিল বিভাগ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন গঠিত বেঞ্চে ২৮ অক্টোবর শুনানির জন্য রেখেছেন।

বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি ২০২১ সালে এই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ গত বছরের ১৩ মে রায় দেন।

আরও পড়ুনকনডেমড সেলে কেন দুজন বন্দী রাখা হয় না?১৪ মে ২০২২

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আপিল শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূইয়া: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো
  • টাঙ্গাইলে জালিয়াতির মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতার কারাদণ্ড
  • শেখ হাসিনার ‘মেটিকুলাস প্ল্যান’ ছিল: ট্রাইব্যুনাল
  • ৫ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন সাবেক প্রধান বিচারপতির
  • ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার মানে 'হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে আসামিকে বলা সাঁতার কাটো’: আমির হোসেন
  • মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেমড সেলে নয়: লিভ টু আপিল শুনানি ২৮ অক্টোবর
  • গবি রেজিস্টারের ফেরা নিয়ে দুই গ্রুপে উত্তেজনা
  • মেট্রোরেলের সময়সূচিতে পরিবর্তন, ১ ঘণ্টা বেশি চলবে