কথা শেষ করেই জামাল ভুঁইয়া গম্ভীরভাবে তাকিয়ে আছেন সবার দিকে। সামনের হল ভর্তি সংবাদকর্মীদের মাঝে তখন হাসির রোল। এমন সহজ তবে দারুণ উত্তর হয়তো প্রত্যাশা করেননি কেউ।

কি প্রশ্ন ছিল? বুধবার (১৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় তারকা সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে হামজা চৌধুরীকে টেনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামালকে প্রশ্ন করেন এক সংবাদ কর্মী।

জামালের উত্তর, “আমি মনে করি না যে সুনীল ছেত্রী ও হামজার তুলনা করা সম্ভব। সুনীল তার দেশের জন্য অসাধারণ অবদান রেখেছেন, তবে বাস্তবতা হলো হামজা একজন প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়।”

আরো পড়ুন:

কোচ বললেন ফাহামিদুল ‘রেডি না’, সুর মেলালেন জামালও

বাংলায় কথা বললেন হামজা

‘হামজা প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়’ জামাল যেন মনে করিয়ে দিলেন কোনো তুলনা নয়। তাইতো হওয়ার কথা। ভারত তো দূরের কথা, এশিয়া জুড়ে খুঁজলে কাউকে পাওয়া যাবে যে বছরের পর বছর খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে? উত্তর হবে, না।

সংবাদ সম্মেলন শেষে জামাল-হামজা এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছবি তোলেন। ডেনমার্ক থেকে একসময় জামালও এসেছিলেনে এভাবে। তার সময়ও কম মাতামাতি হয়নি। তবে এবারেরটা ভিন্ন। অধিনায়ক খুশি। কারণ, তিনি পেয়েছেন লড়ার অস্ত্র। হামজাকে সম্বোধন করেন মেসি বলে।

“অবশ্যই এটা ঠিক তেমনই, যখন আমি এসেছিলাম। হামজা প্রিমিয়ার লিগে খেলা খেলোয়াড়, আমাদের দলে এসেছে। অনেকটা মনে হচ্ছে আমাদের মেসি এসেছে। আমি ঠিক এমনটাই অনুভব করছি” -বলছেন জামাল।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় হামজা অনুশীলন করছেন দলের সঙ্গে। এর আগে দিনে সংবাদ সম্মেলনের আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন হয়েছে। জামালের বিশ্বাস হামজা ফিট হবে দ্রুতই।

“সে কীভাবে দলে ফিট হবে, আমার মনে হয় সে দারুণভাবেই ফিট হবে। সবাই তাকে স্বাগত জানিয়েছে, সবার হামজার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে, তারা জানে সে আমাদের দলের জন্য কী বয়ে আনতে পারে। তারা জানে সে আমাদের কী দিতে পারে। সুতরাং আমাদের জন্য বিষয়টা আসলে দুর্দান্ত।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘কলঙ্কমুক্ত হলো কী না’ প্রশ্নে যা বললেন আবাহনী কোচ

এমন একটা অবস্থা ছিল, ঢাকা লিগ শুরুর আগেই আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ধরা হতো। দল চালানো থেকে বাইশ গজে নানা সুযোগ-সুবিধা পেতো ক্রিকেটাঙ্গনে এমন আলোচনা ছিল ওপেন সিক্রেট।

এবার দেশের পট পরিবর্তনের সঙ্গে বদলে যায় ক্রীড়াঙ্গনের দৃশ্যও। ঢাকা লিগে এবার আর্থিক কারণে দল গড়তে হিমশিম খেয়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল ক্লাবটি। এক ক্রিকেটার স্বাক্ষর করেও টাকা কম দেখে চলে যান অন্য দলে।

সব মিলিয়ে আবাহনীর জন্য মাঠে নামাও চ্যালেঞ্জিং ছিল। সব ছাপিয়ে আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, দাপুটে ক্রিকেটে বিগ বাজেটের দলগুলোকে হারিয়ে শেষপর্যন্ত চব্বিশতম ট্রফি ঘরে তোলে ক্লাবটি।

আরো পড়ুন:

টিম গড়া থেকে সবকিছুতেই চ্যালেঞ্জ ছিল, এ বছরের ট্রফি স্পেশাল: মোসাদ্দেক

দর্শককে মারতে গেলেন মাহমুদউল্লাহ

আবাহনীর কোচিংয়েও এসেছিল বদল। নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে কোচিং বেছে নেন হান্নান সরকার। আবাহনীর হয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই সফল এই কোচ।

ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হান্নান, “আমার কাছে মনে হয় ঢাকা ক্রিকেট লিগে আবাহনী বা মোহামেডানের জার্সি পড়লে বাড়তি মোটিভেশন চলে আসে।’’

আবাহনী কি এবার কলঙ্কমুক্ত হয়েছে? উত্তরে হান্নান বলেন, “এর আগে আবাহনীর চ্যাম্পিয়নশিপকে অনেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে আলোচনায় এনেছে। এবার দেশের প্রেক্ষাপট বদলানোর পর সব দলকে নিউট্রাল জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারেন। অনেক দিক থেকে বিতর্ক হয়েছে, আম্পায়ারিং নিয়ে কথা হয়েছে। তবে দিন শেষে সবাই যার যার জায়গায় ফেয়ার থাকার চেষ্টা করেছে।”

“ঠিক একইভাবে মাঠের ক্রিকেটে সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মাঠের ক্রিকেটে যদি ভালো খেলে যদি চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় তাতে আলাদা তৃপ্তি কাজ করে। আমার মনে হয় এবার আবাহনীর সেভাবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার অনেকে মন থেকেই আবাহনীর জন্য দোয়া করেছে। এটা নিশ্চয়ই অন্যরকম ফিলিংস, বিতর্ক ছাড়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আলাদা ভালো লাগা থাকে।’’

এবার বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা ছিল না। দলটির প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে অবদান রেখেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন হান্নান।

“আগে আবাহনী অনেক টাকা খরচ করে দল বানাতো চ্যাম্পিয়ন মোটামুটি ধরে নেওয়াই যেতো। সেজন্য মাঠের ক্রিকেটকে আপনি ছোট করে দেখতে পারবেন না। এবার ভারি নাম ছিল না, মাঠের ক্রিকেটে ভিন্ন স্ট্রাটেজি সাজিয়ে জিততে হয়েছে, এটার তৃপ্তি অন্যরকম।’’

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘কলঙ্কমুক্ত হলো কী না’ প্রশ্নে যা বললেন আবাহনী কোচ