সুন্দরবনে জোভান-তটিনীর অ্যাডভেঞ্চার!
Published: 24th, March 2025 GMT
প্রেমিকাকে বিয়ের আসর থেকে তুলে সোজা সুন্দরবন নিয়ে যায় প্রেমিক! অথচ সেই প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে অন্তত এক বছর আগেই। এমন এক মজার গল্পে নির্মিত হলো সিএমভি’র ঈদের নাটক ‘ফিরে দেখা’।
মহিদুল মহিমের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন কামরুল ইসলাম শুভ।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে জোভান বলেন, ‘ফিরে দেখা’ অসাধারণ গল্পের একটি নাটক। দর্শক এই সময়ে যে ধরনের গল্পের নাটক দেখতে চায় এটি তেমনই। আশা করছি,নাটকটি দর্শকের পছন্দ হবে’।
নাটকটি সম্পর্কে নির্মাতার ভাষ্য এমন, ‘এটা প্রেমের গল্প। সুন্দরবন অ্যাডভেঞ্চারের গল্প। হারানো সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার গল্প। ঈদ উৎসবে অন্যরকম একটা গল্প।’
নির্মাতা জানান, নাটকটির শুটিং হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন লোকেশনে। ‘ফিরে দেখা’র প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ আয়োজনে সিএমভি’র ব্যানারে প্রকাশ হবে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটক। যার শুরুটা হবে চাঁদরাত থেকে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ
জীব ও প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বনজীবী থেকে শুরু করে পর্যটক, কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।
গত শুক্রবার তারা ভ্রমণে যান। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এডিসি পদমর্যাদার একজনের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছ থেকে ১০ জনের অনুমতি মেলে। ওই দলে তিনি যুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে ট্রলারে উঠে পড়েন। এ সময় তাদের আর নামিয়ে দেওয়া যায়নি।
উপসচিব বা তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে যাওয়া উচিত ছিল কিনা– জানতে চাইলে আমিনুর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলার তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’ কথা বলার জন্য ওই উপসচিবের নাম ও যোগাযোগ নম্বর চাইলে তিনি দেননি।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের জিয়াউর রহমান বলেন, এক উপসচিবের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে ১০ জনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি চাওয়া হয়। অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই সঙ্গে কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির সুন্দরবনে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন আবদারে তারা অসহায় হয়ে পড়েন।