পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েতে মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে। সন্ধ্যারাতের আকাশ আলোকিত করে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎও চমকাচ্ছে। রেইনকোট নিয়ে বের হইনি, গায়ে উইন্ডচিটার আছে বলে বৃষ্টি এলে খানিকটা হয়তো রক্ষা হবে। অপেক্ষা করছি আরও চার বাইকারের জন্য। বাইক হাঁকিয়ে আমরা দলবলে যাচ্ছি বান্দরবানের থানচির তমা তুঙ্গীতে। জায়গাটা থেকে নাকি তাজিংডং, কেওক্রাডং আর ডিমপাহাড় দেখা যায়।

একে একে সবাই চলে এল। সাড়ে আটটা নাগাদ আমাদের যাত্রা শুরু হলো। কাঁচপুর পার হওয়ার পরই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামল। আশ্রয় খুঁজে পেতে পেতে কাকভেজা হয়ে গেলাম। বৃষ্টি থামলে বাইক চালিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে থামলাম। পেট পুরে খিচুড়ি খাওয়ার পর আবার বাইকের চাকা সচল হলো। ফেনীর মহীপালে এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুতে নির্ধারিত বিরতি দিয়ে আমরা কক্সবাজার হাইওয়েতে উঠলাম। পটিয়ার পর ফজরের নামাজের বিরতি নিয়েছিলাম। এর সঙ্গে যোগ হলো বৃষ্টি। তাই আরও খানিকক্ষণ বসে থাকতে হলো। হাঁসের দীঘি নামক স্থানে যখন পৌঁছালাম, তখন সকাল। এখান থেকেই থানচির রাস্তা ধরতে হবে। এরই মধ্যে টিমমেট শাকিল, কাজল ও শুভ বেঁকে বসল। রাতে কয়েকবার মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে, এ অবস্থায় পাহাড়ি রাস্তায় বাইক চালাতে সাহস পাচ্ছে না ওরা। কী আর করা। ওরা কক্সবাজারের পথে চলে গেল আর আমি ও বন্ধু মনির থানচির পথে রওনা হলাম। 

পাহাড়ের গা বেয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে থানচি–আলীকদম সড়ক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের র‌্যালি

সিদ্ধিরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নীট কনসার্নের সামনে থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে নবীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মো. আমিনুল ইসলাম শিপলু।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রোমান, মো. সজিব, মো. তুষার, মাহবুবুর রহমান মিলনসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

র‌্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মো. আমিনুল ইসলাম শিপলু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আবুল কাউসার আশার নির্দেশনায় ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে এই আয়োজনটি করা হয়েছে। 


আমার শ্রমিক ভাইদের দাবি আদায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সব সময় কাজ করে যাবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমরা কখনও পিছপা হবো না।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ