ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় আর মধ্যস্থতা না করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘ যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, আলোচনায় তাদের ‘সহযোগিতার পদ্ধতি বদলাচ্ছেন’ এবং ‘বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গিয়ে বৈঠকে’ তারা আর অংশ নেবেন না। মস্কো ও কিয়েভকে এখন যুদ্ধ বন্ধে ‘সুনির্দিষ্ট’ প্রস্তাবনা হাজির করতে হবে এবং সংঘাত বন্ধে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এ যুদ্ধ যে ‘দ্রুতই শেষ হচ্ছে না’ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও বৃহস্পতিবার তা স্বীকার করে নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতা থেকে পিছু হটল ওয়াশিংটন। এরই মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার আগে, এমনকি খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগের কয়েক সপ্তাহেও এই যুদ্ধ নিয়ে ইউক্রেনকেই সবচেয়ে বেশি দোষারোপ করেছেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি পুতিনের ওপর তাঁর হতাশা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ক্রেমলিন কিয়েভের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখালেও, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। ওই প্রস্তাবে ইউক্রেনের যেসব এলাকা মস্কোর দখলে রয়েছে, সেগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল না। যুদ্ধ-পূর্ববর্তী ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের নিয়ন্ত্রণই এখন রুশ বাহিনীর হাতে।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, উভয় পক্ষই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অপরের শর্তগুলো কী তা জানে। এখন চুক্তিতে আসা এবং এই সংঘাত বন্ধ করাটা পুরোপুরি তাদের ওপর নির্ভর করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার

দেশে চলতি এপ্রিল মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৭৫ কোটি ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। 

রবিবার (৪ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরেরর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯১১ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

আরো পড়ুন:

লেনদেন সীমা বাড়ল
বিকাশ-নগদ-রকেটে দিনে ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে

রূপালী ব্যাংক: এই সেই তিন ডাকাত

দেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমান ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো দেশে আসেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যালেনে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া গত রমজান মাস কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি বেশি অর্থ পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগামী ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেও রেমিট্যান্স পাঠানোর ধারা অব্যাহত রয়েছে। 

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। 

ঢাকা/এনএফ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ