রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এখন ইউনূস ট্রেড সেন্টারে
Published: 4th, May 2025 GMT
রূপালী ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছে। রোববার রাজধানীর ৫২-৫৩, মতিঝিল দিলকুশা ইউনূস ট্রেড সেন্টারে নতুন কার্যালয়ের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ৩৪, দিলকুশায় অবস্থিত ‘রূপালী ভবন’-এ পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে ভবনটিকে রেট্রোফিটিং ও আধুনিকীকরণের জন্য বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে ইউনুস ট্রেড সেন্টারে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। সংস্কার সম্পন্ন হলে পুনরায় রূপালী ভবনে কার্যক্রম শুরু হবে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো.
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক ইয়াছমিন বেগম, মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন, মো. মঈন উদ্দিন মাসুদ, মো. নোমান মিয়া, সালামুন নেছা, তানভীর হাসনাইন মঈন, শেখ মুনজুর করিম এবং মো. মনিরুল হকসহ ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের সামনে তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করেন। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।
এর আগে শনিবার বেলা তিনটার দিকে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সহ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম। সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীও কর্মবিরতিতে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।
রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডসংলগ্ন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক ছাত্রীও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করবেন। পোষ্য কোটার বিলুপ্তি করেই তাঁরা ফিরবেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব ফোন ধরেননি। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা খুবই ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে আটকে রেখে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করল, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন হবে কি না, এটা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই সিরিয়াস।’
আরও পড়ুনসহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার পর কর্মবিরতির ডাক১ ঘণ্টা আগে