সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেনকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। 

সোমবার (৫ মে) থেকে শুরু হয়েছে এই ছুটি। আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকবেন। এ সময় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুর রহমান চৌধুরী।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (৪ মে) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি সভায় নুরুদ্দিন মো.

ছাদেক হোসেনকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের সময় ব্যাংকটিতে ঋণ বিতরণ ও অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থেই নুরুদ্দিনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। 

নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেন ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৩ সালের ৪ জুন তিনি এই ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করেন।

সাউথইস্ট ব্যাংকসহ দেশের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম, খেলাপি ঋণ ও সুশাসনের ঘাটতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর নজরদারি করছে। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

গত মাসে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকেও একই কারণে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। 

এনএফ//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স উথইস ট ব য র এমড

এছাড়াও পড়ুন:

এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের সামনে তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করেন। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।

এর আগে শনিবার বেলা তিনটার দিকে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সহ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম। সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীও কর্মবিরতিতে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।

রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডসংলগ্ন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক ছাত্রীও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করবেন। পোষ্য কোটার বিলুপ্তি করেই তাঁরা ফিরবেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব ফোন ধরেননি। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা খুবই ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে আটকে রেখে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করল, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন হবে কি না, এটা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই সিরিয়াস।’

আরও পড়ুনসহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার পর কর্মবিরতির ডাক১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ