গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অনুপ্রবেশ করা ভারতীয় চোরাকারবারি ঢাকায় আটক
Published: 5th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে গুলিবিদ্ধ হন সুজন বর্মন নামে এক ভারতীয় চোরাকারবারি। আহত ওই ব্যক্তিকে ঢাকায় আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আটক করে বিজিবির একটি টহল দল।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, গতকাল রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় একজন ভারতীয় চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক সুজন বর্মন ভারতের আগরতলার বটতলী গ্রামের মঙ্গল বর্মনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে হাতিরঝিল থানা পুলিশের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গতকাল রাতে সাকিব (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন সুজন বর্মণ (৩৫) নামে এই ভারতীয় নাগরিক।
নিহত বাংলাদেশি সাকিব কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো.
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (৪ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে মাদলা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন সাকিব ও সুজন। তারা সীমান্ত এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল ইসলাম জানান, ভারতীয় নাগরিক সুজন বর্মণের সহায়তায় চোরাই পথে একটি মোটরসাইকেল আনার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, এতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাকিবকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার হতে হবে: রাশেদ প্রধান
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সংস্কার হতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। দল হিসেবে সন্ত্রাসী অপরাজনৈতিক অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। রুখে দিতে হবে ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদকে।
শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা জাগপা আয়োজিত ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগ এবং ভারত থেকে পূর্বনির্ধারিত ছিল। তাই বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে মুখিয়ে আছেন। এ কারণে উৎসবমুখর নির্বাচন প্রয়োজন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রয়োজন। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত হবে বলে আশা তার।
শেখ হাসিনার পতনের পরও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী–বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, ‘ভারতের ক্রমাগত পুশইন আমাদের জন্য আশঙ্কাজনক। দিল্লির সেবাদাস শেখ হাসিনা গদি হারিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে না পেরে হিন্দুস্তান পুশইনের আশ্রয় নিয়েছে।’
জাগপা নেতা বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পুশইনের মাধ্যমে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ভারতীয় সন্ত্রাসীদের বিএসএফ প্রবেশ করাচ্ছে।
জেলা জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, সিনিয়র সহসভাপতি মফিদার রহমান, সহসভাপতি শামসুজ্জামান নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন পাটোয়ারী, জেলা যুব জাগপার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কুয়েত, জেলা জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।