বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট-এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন
Published: 5th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট-এর নতুন পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি (২০২৫-২০২৭) গত শনিবার (৩ মে ২০২৫) ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, বিএমডিসির সহসভাপতি, নিপসমের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.
এর আগে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট ৯ম জাতীয় সম্মেলন সম্প্রতি রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেনসহ অন্যরা। দেশের প্রায় ৪০০ জন মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট জাতীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। একই দিনে ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাধারণ সভায় নতুন পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি (২০২৫-২০২৭) গঠিত হয়। সেই কমিটি ৩ মে দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মো. আকরাম হোসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল হক। অন্যান্য পদগুলোতে আছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম মুসা, যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক সাইফুল হাসান নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জোবায়ের, বৈজ্ঞানিক ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজা নাসরিন, দপ্তর সম্পাদক নিগাহ জান্নাত দোলা, সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আদনীন মৌরিন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নাইমা মোয়াজ্জেম, অধ্যাপক শাহ্ মো. জহিরুল হক আছনা, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক আফজালুননেসা বিনতে লুৎফর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক আরিফ আহমেদ খান, অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সাল আলম, অধ্যাপক জাকির হোসাইন হাবীব, অধ্যাপক নাসের ইবনে সাত্তার, মো. সাইফুল ইসলাম, মোস্তাকিমুর রহমান, রেহানা রাজ্জাক খান, নাজিয়া হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুমন খীসা ও শাহরিয়ার রিজভী।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট (বিএসএমএম)-এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি সম্মানিত সদস্যদের কল্যাণের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ স স ইট অন ষ ঠ কল য ণ
এছাড়াও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার গণসংযোগ, রবিবার থেকে কঠোর কর্মসূচি
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সচিবালয়ে ৪ নম্বর ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। দাবি মেনে নেওয়া না হলে, রবিবার (২২ জুন) থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও এক উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ওই ভবনে গণসংযোগ কর্মসূচি করা হবে। আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রবিবার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
আরো পড়ুন:
সচিবালয়ে আন্দোলন
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন কর্মচারীরা
সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, চলবে মঙ্গলবারও
এর আগে, আজ সকাল সোয়া ১১টায় কর্মচারীরা সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করেন। এরপর তারা ৬ নম্বর ভবনে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবরে স্মারকলিপি দেন।
শেষে ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।”
তিনি বলেন, “কর্মচারীদের দাবি সম্বলিত পোস্টার লাগানো হয়েছিল। পোস্টার যারা ছিড়েছে সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাটিয়ে দিতে হবে।”
নূরুল ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে চোরাবালিতে আটকে ফেলার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু আমলারা এই আইন তৈরি করেছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি। যদি আজকে দিনের মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে এমনও হতে পারে বিভাগীয় সম্মেলনের থেকেও কঠোর কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু আমাদের বন্দি করে আপনারা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন এটা কি হতে পারে? আমরা হলাম বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশন। যদি ফাউন্ডেশনটাই উপড়ে ফেলেন তাহলে আপনারা কীভাবে কাজ করবেন?”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ নেতারা।
ঈদের ছুটির পর গত সোমবার (১৬ জুন) ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সোমবার ও মঙ্গলবার তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে দুই দিনে চার উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটির বিরোধিতা করে এই অধ্যাদেশটিকে কালো আইন অবহিত করে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ