এবি ব্যাংকের এমডি ও সিইও হলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান
Published: 6th, May 2025 GMT
এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সৈয়দ মিজানুর রহমান। গত ৫ মে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সৈয়দ মিজানুর রহমান ২০১১ সালের মার্চ মাসে এবি ব্যাংকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। তিনি ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
ব্যাংকিং খাতে ২৮ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সৈয়দ মিজানুর রহমান এবি ব্যাংকে যোগ দেওয়ার আগে ঢাকা ব্যাংক, আইপিডিসি, ব্যাংক আলফালাহ এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
ব্যাংকিং জগতে দীর্ঘ পথচলায় তিনি ব্র্যাঞ্চ ব্যাংকিং, রিটেইল, প্রসেস ট্রান্সফরমেশন, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং কর্পোরেট কমিউনিকেশনসহ ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার জ্ঞানের পরিধিকে আরো বিস্তৃত করেন।
সৈয়দ মিজানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল গংদের বিচারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন
ভূমিদস্যু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, পলাতক সাবেক পুলিশের ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক, খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম বাবু ও আরিফুর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ আগষ্ট) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ১৪নং ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তৃতারা বলেন, আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৪নং ওয়ার্ডস্থ ১৮৫/০১ বি.বি. রোডস্থ ২৭ শতাংশের (৫ তলা) বাড়ী থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। প্রতিবেশী ভূমিদস্যু গং অবৈধ দখলের জন্য পায়তারা করছে কৌশলে।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশের ডিআইজি পোস্ট কে পুঁজি করে ভূমিদস্যু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, পলাতক সাবেক পুলিশের ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক গং ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর পূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি থেকে আমাদের স্ব পরিবারে তাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া সেই সময় আমাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান করে ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল গং এর খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম বাবু, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
আমরা এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং২৬৮/২১ এবং ৪৫৪/২৩ দুটি রুজু করার পরও নিজ বাড়ীতে ফিরতে পারছি না। বর্তমানে মামলা দুটি বিচারাধীন রয়েছে। তাছাড়া উপরোক্ত ভূমিদস্যু গং বিভিন্ন সময় আমাদের নিরীহ পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কারন উল্লেখ করে থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করে আসছে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নিরীহ পরিবারের দাবী ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখল থেকে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব-১১, সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের পৈত্রিক বাড়ি দখল মুক্ত করা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নালিশা বাড়ির প্রকৃত মালিক মৃত হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া চাঁন মিয়ার পুত্র মোমেনুর রহমান, আমিনুর রহমান, মামুনুর রহমান, কন্যা শামীমা কামাল রানী, ফাতেমা ইয়াসমিন ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের ক্রীড়া সম্পাদক মো. রানা সহ ১৪নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ।
জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক। অন্যের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে তার ওপরে। সম্প্রতি মোজাম্মেল হক, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে থাকা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।