বিয়ের দেড় বছরের মাথায় বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার তারকা জুটি বরুণ তেজ ও লাবণ্য ত্রিপাঠি। মঙ্গলবার (৬ মে) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আনন্দের খবরটি জানান এই দম্পতি।
ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বরুণ তেজ ও লাবণ্য ত্রিপাঠি। তাতে দেখা যায়, বরুণের হাতটি শক্ত করে ধরে আছেন লাবণ্য। পাশাপাশি ছোট্ট এক জোড়া জুতা। এ ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “জীবনের সবচেয়ে চমৎকার চরিত্রটি এখনো আসেনি। খুব শিগগির আসছে।”
এরপর থেকে সহকর্মী, ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই দম্পতি। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মধ্যে রয়েছেন— কাজল আগরওয়াল, রেজিনা, আদিত্য রায় হায়দারি, রাম চরেণে স্ত্রী উপাসনা, রাকুল প্রীত সিং, অভিনেতা নিতিন প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
ভারতে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা, ক্ষুব্ধ প্রকাশ রাজ
বাবা-মা হতে যাচ্ছেন নাগা-শোভিতা?
বরুণ তেজ ও লাবণ্য ত্রিপাঠি অভিনয় ক্যারিয়ারে আলাদা আলাদাভাবে বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কয়েকটি সিনেমায় জুটি বেঁধেও অভিনয় করেছেন। ২০১৭ সালে ‘মিস্টার’ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম পরিচয়। পরবর্তীতে সম্পর্কে জড়ান বরুণ-লাবণ্য। তাদের প্রেম নিয়ে কানাঘুষা কম হয়নি। তবে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন।
২০২৩ সালের ৯ জুন ভারতের হায়দরাবাদে আংটি বদল করেন বরুণ-লাবণ্য। এর মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দেন। একই বছরের ১ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা। এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ইতালিতে হয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা
যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী
তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর।
সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে।
ঢাকা/রিটন/রফিক