বন্দরে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ১০ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (৭ মে) দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী সৌরভ (২২) বন্দর কুমারপাড়া এলাকার বীরেন্দ্র নাথ বর্মনের ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী  হৃদয় চন্দ্র বর্মন (২০) একরামপুর ইস্পাহানী মাছ বাজার এলাকার মৃত তাইজুদ্দিন মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রাকিব (২৫) চাঁনপুর এলাকার নাসির উদ্দিন মিয়ার ছেলে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী শফিকুল ইসলাম (৩৫) জিওধরা এলাকার সৈয়দ জালাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) চাপাতলি এলাকার আহসান উল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ফারুক (৪৫) শাহীমসজিদ এলাকার আব্দুল সোবহান মিয়ার ছেলে সজিব (২৬) দেওয়ানবাগ এলাকার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মাজিদুল ইসলাম (৪০)  নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত দুলাল বেপারী ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জাহের বেপারী (৬০) ও বন্দর স্বল্পের চক এলাকার আলী হোসেনের ভাড়াটিয়া মৃত আশ্রাফ আলী মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (৬৪)। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে ঘুমন্ত বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘুমন্ত বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ৯ আগস্ট সকালে নিজ ঘর থেকে আব্দুর রহিম রাফির (২৬) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। বড় ভাইয়ের জানাজায় মানুষের আবেগঘন উপস্থিতি দেখে পুলিশ কাছে স্বীকারোক্তি দেয় ১৬ বছর বয়সী ছোট ভাই (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি)। সেদিনই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর স্বীকার করে, আগের রাতে বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাইলে তা না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে রাফি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন সকালে মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘুমন্ত ভাইকে খাটের নিচে রাখা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে দা ধুয়ে আবার খাটের নিচে রেখে দেয় এবং নিজের রক্তমাখা লুঙ্গিও সেখানেই লুকিয়ে রাখে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুধু টাকার জন্য নয়, মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করা, বড় ভাইয়ের শাসন এবং রাফির বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তি—এসব কারণেও ছোট ভাইয়ের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করায় তার স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের বিরোধ শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা বলেছেন, অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক তাই আইন অনুযায়ী তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। 

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ