চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে জেলার ২০ সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতারা কর্মসূচিতে অংশ নেন। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ১৩ মের মধ্যে দাবি না মানা হলে ১৪ মে বনলতা ট্রেন অবরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। এদিকে একই দাবিতে ঢাকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতিও রাজধানীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। 

ঘণ্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সুজনের জেলা সভাপতি আসলাম কবির। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সুজনের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক আব্দুর রাহিম, মাহিন খাঁন ও সাব্বির আহম্মেদ, নাগরিক সংগঠক শওকত আলী, সমাজকর্মী আব্দুল মজিদ, নাচোল উপজেলা সুজনের সম্পাদক শাকিল রেজা, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসাহাক, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ, চা দোকান মালিক সমিতির কামরুজ্জামান, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক খাইরুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা আব্দুর রহমান অনু, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা বাবলু, প্রবীণ হিতৌষী সংঘের আফসার আলী, ডা.

মাহফুজ রায়হান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মোখলেসুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন, জেলা চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ। 

সুজন সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, সোনামসজিদ ও রহনপুর শুল্কস্টেশন থেকে সরকার বছরে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। এই জেলার উৎপাদিত ধান ও চাল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। অথচ ১৮ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় একটিমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা চালু আছে; যার আসন সংখ্যা ২১০টি। তিনি আরও বলেন– পদ্মা, সিল্কসিটি, ধূমকেতু, মধুমতীসহ সব ট্রেন রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করছে। ট্রেনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চললে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ প ইনব বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আট দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেন অবরোধের হুমকি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে জেলার ২০ সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতারা কর্মসূচিতে অংশ নেন। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ১৩ মের মধ্যে দাবি না মানা হলে ১৪ মে বনলতা ট্রেন অবরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। এদিকে একই দাবিতে ঢাকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতিও রাজধানীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। 

ঘণ্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সুজনের জেলা সভাপতি আসলাম কবির। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সুজনের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক আব্দুর রাহিম, মাহিন খাঁন ও সাব্বির আহম্মেদ, নাগরিক সংগঠক শওকত আলী, সমাজকর্মী আব্দুল মজিদ, নাচোল উপজেলা সুজনের সম্পাদক শাকিল রেজা, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসাহাক, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ, চা দোকান মালিক সমিতির কামরুজ্জামান, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক খাইরুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা আব্দুর রহমান অনু, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা বাবলু, প্রবীণ হিতৌষী সংঘের আফসার আলী, ডা. মাহফুজ রায়হান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মোখলেসুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন, জেলা চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ। 

সুজন সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, সোনামসজিদ ও রহনপুর শুল্কস্টেশন থেকে সরকার বছরে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। এই জেলার উৎপাদিত ধান ও চাল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। অথচ ১৮ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় একটিমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা চালু আছে; যার আসন সংখ্যা ২১০টি। তিনি আরও বলেন– পদ্মা, সিল্কসিটি, ধূমকেতু, মধুমতীসহ সব ট্রেন রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করছে। ট্রেনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চললে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ