গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতল এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার
Published: 8th, May 2025 GMT
ফেস্টিভ্যাল অব মিডিয়া এশিয়া ২০২৫-এ ‘বেস্ট ইউজ অব মোবাইল’ ক্যাটাগরিতে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতেছে এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো এজেন্সি এই আন্তর্জাতিক আসরটিতে সম্মান অর্জন করল।
পুরস্কারজয়ী এই ক্যাম্পেইনটি মোবাইল সল্যুশন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ও অনন্য স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতের সঙ্গে মিলিয়ে এমন একটি মিডিয়া ফরম্যাট তৈরি করে, যা ব্র্যান্ড ও গ্রাহক উভয় পক্ষের কাছেই কার্যকর হয়ে ওঠে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে গ্রামীণ এলাকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয় এই ক্যাম্পেইনটি। এটি প্রমাণ করে, যে স্থানীয় প্রেক্ষাপট থেকে পাওয়া ইনসাইট দিয়েও বিশ্বমানের উদ্ভাবন সম্ভব।
২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা ফেস্টিভ্যাল অব মিডিয়া এশিয়া (ফোমা) এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম, যেখানে রিজিয়নের সেরা কাজগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এবং অভিজ্ঞ জুরি প্যানেল ফোমাকে এই অঞ্চলে মিডিয়া উৎকর্ষের মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ারের এই অর্জন বৈশ্বিক মিডিয়া অঙ্গনে বাংলাদেশের অগ্রসর উপস্থিতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি ডেটা-ভিত্তিক ইনসাইট এবং সৃজনশীল মিডিয়া সমাধানের মাধ্যমে সেরা থেকেও আরও সেরা হওয়ার প্রতি তাদের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতিকেও প্রতিফলিত করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লিফলেট বিতরণে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলার অভিযোগ
মাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফা–সংবলিত লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাত আটটার দিকে শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট নিয়ে বের হন মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাবলু সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকেরা। শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন তাঁরা। ফেরার পথে উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এলে শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরের লোকজনের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ।
এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিবচর থানা–পুলিশ ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া সুমন আহম্মেদ ও রাশেদ মৃধা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট নিয়ে তাঁরা চরশ্যামাইল এলাকার কাজীর দোকান নামক স্থানে এলে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ফকিরের ছেলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সুমন ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁদের অনেক লোকজন আহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল রেখে তাঁদের অনেকে সেখান থেকে ফিরেছেন।
বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন অনুসারীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মিটমাটও হয়ে গেছে। লিফলেট বিতরণ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় গতিরোধ করে দুই দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় যারা আহত বেশির ভাগই বিএনপির কর্মী সমর্থক। তিনি হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাবলু ফকিরের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। এ ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’