সীতাকুণ্ডে অস্ত্রধারীদের হামলায় জামায়াতের সভা পণ্ড, আহত ১০
Published: 9th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ইউনিয়ন জামায়াত। শুক্রবার বাদ জুমা জঙ্গল সলিমপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
পূর্বঘোষণা অনুসারে জুমার নামাজের পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী সমাবেশ উপস্থিত হয়ে অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে হামলা চালায়। গুলিতে আহত হন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী ও আব্দুস সালাম।
হামলায় সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের জয়েন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলীসহ ১০ জনের অধিক আহত হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ জামায়াতের ৭-৮ জন নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা উপুর্যপরি হামলা করে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আজ শুক্রবার বাদে জুমা এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিবাদ সভায় উপজেলা ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ সমাবেত হলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সভা পণ্ড করে দেয়। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে দুই জামায়াত নেতাসহ ১০ জনের অধিক জামায়াত নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, বিএনপি বিএনপি ও জামাত আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করছিল। এ সময় বিএনপি সমর্থিত কিছু লোক এসে সভায় অতর্কিত হামলা করে। এতে জামায়াত কয়েকজন নেতাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের বিএনপি ও জামায়াত কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।