সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল টুর্নামেন্ট আজ শুক্রবার (০৯ মে) মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছিল বাংলাদে দল। দুই গোলের লিডে বিরতিতে যাওয়ার পরও শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারিয়ে ফেলে ছোটনের শিষ্যরা। সে কারণে জয়বঞ্চিত হয়ে ২-২ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই মালদ্বীপের এক ভুল পাসকে সুযোগে পরিণত করে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। এরপর আরও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বিরতির ঠিক আগে মিঠু চৌধুরীর নিখুঁত লব থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিফাত কাজী।

দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ইতালি প্রবাসী আব্দুল কাদির মাঠে নামলেও পছন্দের জায়গা উইংয়ের বদলে মাঝমাঠে খেলায় প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন। বল পেতেও সমস্যা হচ্ছিল তার। সে কারণে ৭১ মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ।

আরো পড়ুন:

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি

তার আগেই মালদ্বীপ নিজেদের ছন্দ ফিরে পায়। ৫৭ মিনিটে ইব্রাহিম নাসিরের ক্রস থেকে আনুফ আব্দুল্লাহ একটি দারুণ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান কমান। এরপর ৭৩ মিনিটে অধিনায়ক আহজাম রাশিদের নিখুঁত থ্রু বল ধরে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ইব্রাহিম জাকি।

শেষদিকে বাংলাদেশকে নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ইসমাইল হোসেন মাহিন। প্রতিপক্ষের একটি ভয়ঙ্কর শট ঠেকিয়ে ম্যাচে একটি পয়েন্ট নিশ্চিত করেন তিনি।

এভাবে প্রতিযোগিতার শুরুটা প্রত্যাশামতো না হলেও রবিবার (১১ মে) ভুটানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ চ য ম প য়নশ প ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন সেতু নির্মাণে কত সময় লাগবে, কত খরচ হবে

নগরের শীতল ঝরনা খালের ওপর ভেঙে দুই ভাগ হয়ে পড়া সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণে চলতি সপ্তাহেই দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। এতে ব্যয় হবে ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় ভারী বর্ষণের সময় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের স্টারশিপ গলির মুখে ভেঙে যায় একটি সেতুর এক পাশ। শীতল ঝরনা খালের ওপর অবস্থিত এই সেতুর আরেক পাশ দিয়ে যান চলাচল করছে। তবে সেতুর এই পাশটিও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা।

এই সেতু দিয়ে নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন যাতায়াত করেন লোকজন। নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী সড়কের ওপর থাকা সেতুর অংশ ভেঙে যায়। বর্তমানে অক্সিজেন থেকে ২ নম্বর গেটমুখী অংশ চালু আছে।

রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ভেঙে যাওয়া সেতুর এক পাশে টিনের ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এবং ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো হয়েছে। এ ছাড়া খননযন্ত্র দিয়ে সেতুর উপকরণগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা জানান, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার গাড়ি চলাচল করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির এক পাশ ভেঙে গেছে। আরেক পাশও ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন এই প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগের জন্য আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খালের ওপর নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে সেতুর নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ব্যয়ও ঠিক করা হয়েছে। যার পরিমাণ ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। নতুন সেতুর প্রশস্ততা হবে ২৩ মিটার। এর দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার। আগে দৈর্ঘ্য ছিল ছয় মিটার।

সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক জসীম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় শীতল ঝরনা খালের ওপর নতুন সেতু নির্মাণে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। এ জন্য দ্রুত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর নির্মাণকাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণ করতে অন্তত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। তবে চেষ্টা করবেন আরও আগে কাজ শেষ করার জন্য।

প্রকল্প পরিচালক জানান, সেতুটির দুই পাশের নির্মাণকাজ একসঙ্গে করা যাবে না। প্রথমে ভেঙে যাওয়া অংশে কাজ করা হবে। এরপর পাশের অংশে কাজ করবেন তাঁরা। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী প্রথম আলোকে বলেন, সেতুর দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অন্তত দেড় মাস সময় লাগবে। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তাই নির্মাণকাজ শুরু করতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে।

চট্টগ্রাম নগর থেকে উত্তর চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিতে যাতায়াত করতে বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক ব্যবহার করেন লোকজন। আবার এই সড়কের দুই পাশে রয়েছে পোশাক কারখানা, ইস্পাত কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। আছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ এবং ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে এই সড়কের গুরুত্ব অনেক বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
  • ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বসিয়ে অনেককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে: শফিকুল আলম
  • জিম্বাবুয়েতে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের যুবারা, ৯৫ রানের পর ৫ উইকেট রিজানের
  • এনসিপি নেতাকে ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’ চিরকুটের সঙ্গে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি
  • ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ অন্তত ১৬টি দল
  • পটিয়ায় চাকরিচ্যুতদের অবরোধ প্রত্যাহার, ৪ ঘণ্টা পর সচল হলো ২০ ব্যাংক
  • নতুন সেতু নির্মাণে কত সময় লাগবে, কত খরচ হবে
  • পাটুরিয়া লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন, লঞ্চে যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ ওঠানামা
  • থমকে গেছে জুলাই যোদ্ধা মিশনের জীবন
  • বিরল নেপালি খুদে ছাতারে