‘হিট স্টোক’ এর ঝুঁকি কমাতে কাঁচা করলা ভর্তা
Published: 11th, May 2025 GMT
পুষ্টিবিদরা এই গরমে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখার জন্য করলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকলে বাইরের গরম আবহাওয়ার সঙ্গে দ্রুত সামঞ্জস্য করতে পারে। এতে হিট স্টোকের ঝুঁকি কমে। এই রেসিপিটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পরেন। জেনে নিন কাঁচা করলা ভর্তার রেসিপি।
উপকরণ
বিচি ফেলে পাতলা স্লাইস করা করলা: ১ কাপ
লবণ: ১ চা-চামচ
কুমড়া বড়ি: সিঁকি কাপ
পেঁয়াজ (মিহি স্লাইস): আধা কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি: ২টি
সরিষার তেল: ২ চা-চামচ
তেল: ২ চা-চামচ
প্রথম ধাপ: কুমড়ার বড়ি ধুয়ে পাটায় বা হামানদিস্তায় গুঁড়া করে নিতে হবে। এরপর করলায় আধা চা-চামচ লবণ মেখে ৩০ মিনিটের জন্য রেস্টে রেখে দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: করলা ভালো করে কচলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে মৃদু আঁচে বড়ির গুঁড়া লালচে করে ভেজে তুলুন। কিছু সময় বাতাসে রেখে ঠান্ডা হতে দিন।
আরো পড়ুন:
ছুটির দিনে পাতে পড়ুক ‘আম ডাল’
সুস্বাদু পাটশাকের বড়া
তৃতীয় ধাপ: এ পর্যায়ে একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও সরিষার তেল একসঙ্গে ভালোভাবে কচলে নিন। এবার করলা কুচি ও ভেজে রাখা বড়ির গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে মেখে নিন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে হত্যায় আদালতে মেয়ের দায় স্বীকার
ঢাকার সাভারে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মেয়ে জান্নাতুল জাহান শিফা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা সুলতানা সুইটির আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ শুক্রবার আদালতের সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বিশ্ব কুমার দেব নাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর মা নিহত ব্যক্তি আবদুস সাত্তারের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। তরুণীর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার মা মারা যান। ২০১৯ সাল থেকে বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালে অভিযুক্ত তরুণী বাবার বিরুদ্ধে নাটোরে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন সময় মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন বাবা। একপর্যায়ে মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির মামলাও করেন। পরে সাভারে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন ওই বাবা। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই বাসায় আসেন মেয়েটি। এর পর থেকে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময়ে চাপ দিতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
জবানবন্দিতে বলা হয়, গত বুধবার রাতে মেয়েটি খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। ভোররাত চারটার দিকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি মেরে বাবাকে হত্যা করেন তিনি। মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে বাবাকে হত্যার কথা জানান।
পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।