ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১১ মে) সূচকের বড় উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে। এ সময় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সকালে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচক ৯৯.

৮৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯০২ পয়েন্টে। শরিয়া ডিএসইএস সূচক ২৬.২৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৪ পয়েন্টে ও ডিএসই৩০ সূচক ২৭.০৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮২০ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

এ সময়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭৭টির, কমেছে ১০টির ও অপরিবর্তীত আছে ৭টির। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে ৩৬৬ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে সিএসইর প্রধান সিএসইএক্স সূচক ৬০.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে। সার্বিক সিএএসপিআই সূচক ১১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৭০৩ পয়েন্ট, শরিয়া সিএসআই সূচক ৭.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮৮৩ পয়েন্টে ও সিএসই৩০ সূচক ১০৩ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৬৭২ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

এ সময়ে সিএসইতে ১৮৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ৪৫টির ও অপরিবর্তীত আছে ১৫টির। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে ২১ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

পুঁজিবাজারে এখনও টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক সূচকগুলো ঘুরে দাঁড়ালেও পুঁজিবাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে বিনিয়োগকারী, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকারসহ সকল স্টেকহোল্ডারের মধ্যে আস্থার সংকট আরো প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে।

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের প্রতিবাদে বেশ কিছু দিন ধরে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করে আসছেন। 

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অধিকতর শক্তিশালী করতে এবং সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে চলতি বছরের গত ১৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ন করছ

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে (৪ থেকে ৮ মে) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

শনিবার (১০ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২.৪৩ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২০ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯.৯১ পয়েন্ট বা ১.৮২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৭.৪৪ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির। শেয়ার লেনদেন হয়নি ২৩টি কোম্পানির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১.৪৪ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.০০৬ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৬৭২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৩ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৬০ শতাংশ কমে ৮৮৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ থাকায় ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্ট অপরিবর্তিত আছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৫২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে খুলনা পাওয়ার
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে বারাকা পতেঙ্গা
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা
  • ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে