জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদ সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইদিন  বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার কক্ষে এ সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন আরো ৫ টি সংগঠন।সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতি ক্রমে জহিরুল ইসলাম কচিকে বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি এবং মোহাম্মদ নূরউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। 

কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ সভাপতি: মাসুদ রানা (মিরপুর ফিল্ম ক্লাব), সহ-সভাপতি: উইমেন্স ফিল্ম সোসাইটি অব বাংলাদেশ (প্রতিনিধি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক:  আবদুল্লাহ আল মারুফ (রয়েল বেঙ্গল ফিল্ম সোসাইটি ), অর্থ সম্পাদক: আশরাফ রনি (সিনেফিল ফিল্ম ক্লাব ), সাংগঠনিক সম্পাদক: সাদমান শাহরিয়ার (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম ক্লাব), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: আহমেদ তেপান্তর আওয়াল (সের্গেই বন্দারচুক ফিল্ম ক্লাব), দপ্তর সম্পাদক: মাহফুজুল ইসলাম খান (সুন্দরবন ফিল্ম সোসাইটি)। 

নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- আবদুল্লাহ বনি (বাগেরহাট ফিল্ম সোসাইটি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, (প্রতিনিধি), টি এফ পি ফিল্ম ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (প্রতিনিধি), জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, (প্রতিনিধি), বিসিসিআই ফিল্ম ক্লাব, (প্রতিনিধি), ব্রহ্মপুত্র চলচ্চিত্র সংসদ, ময়মনসিংহ (প্রতিনিধি), 
এছাড়া সাবেক সভাপতি প্রফেসর আব্দুস সেলিম, শরীফুল ইসলাম, মীর শামসুল আলম বাবু, ড.

শাহীন বিন আব্দুল হাইকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। 
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চলচ্চিত্র সংসদগুলির প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ সংগঠনের কার্যক্রমের বিবরণ দেন। আলোচনায় উঠে আসে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের চ্যালেঞ্জ, দর্শক সংকট, আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের অভাবের মতো বিভিন্ন সমস্যা। একইসাথে, তৃণমূল পর্যায়ে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশ, নতুন দর্শক তৈরি এবং স্থানীয় প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়ার মতো সম্ভাবনাগুলিও সম্মেলনে গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়।  
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র চলচ চ ত র স স ফ ল ম স স ইট

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁধের গেট খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানের দিকে যাচ্ছে পানি

অস্ত্রবিরতির পরদিনই চেনাব নদীতে দেওয়া বাঁধের একাধিক গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে আবারও পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।

পহেলগাঁওয়ের হামলায় নিহতের পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ। 

ভারত সরকার সাময়িকভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে এবং চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের গেট লাগিয়ে প্রবাহ আটকে দেয়। ফলে পাকিস্তানের দিকে চেনাব নদীর জলস্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়।

দেশটির প্রশাসনের বরাতে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে টানা বৃষ্টির কারণে বাগলিহার ও সালাল বাঁধে পানিরস্তর বেড়ে গিয়েছিল। বাঁধে অতিরিক্ত জল জমে থাকায় তা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি না ছাড়লে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত।

যদিও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বাঁধের গেট খোলার প্রকৃত কারণ জানানো হয়নি। গেট খোলার ফলে পাকিস্তানে চেনাব নদীর শুকিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে আবারও জল প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তানি প্রশাসন ইতিমধ্যেই কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ