ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজের নতুন কমিটি গঠন
Published: 11th, May 2025 GMT
জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদ সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইদিন বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার কক্ষে এ সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন আরো ৫ টি সংগঠন।সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতি ক্রমে জহিরুল ইসলাম কচিকে বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি এবং মোহাম্মদ নূরউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ সভাপতি: মাসুদ রানা (মিরপুর ফিল্ম ক্লাব), সহ-সভাপতি: উইমেন্স ফিল্ম সোসাইটি অব বাংলাদেশ (প্রতিনিধি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আবদুল্লাহ আল মারুফ (রয়েল বেঙ্গল ফিল্ম সোসাইটি ), অর্থ সম্পাদক: আশরাফ রনি (সিনেফিল ফিল্ম ক্লাব ), সাংগঠনিক সম্পাদক: সাদমান শাহরিয়ার (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম ক্লাব), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: আহমেদ তেপান্তর আওয়াল (সের্গেই বন্দারচুক ফিল্ম ক্লাব), দপ্তর সম্পাদক: মাহফুজুল ইসলাম খান (সুন্দরবন ফিল্ম সোসাইটি)।
নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- আবদুল্লাহ বনি (বাগেরহাট ফিল্ম সোসাইটি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, (প্রতিনিধি), টি এফ পি ফিল্ম ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (প্রতিনিধি), জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, (প্রতিনিধি), বিসিসিআই ফিল্ম ক্লাব, (প্রতিনিধি), ব্রহ্মপুত্র চলচ্চিত্র সংসদ, ময়মনসিংহ (প্রতিনিধি),
এছাড়া সাবেক সভাপতি প্রফেসর আব্দুস সেলিম, শরীফুল ইসলাম, মীর শামসুল আলম বাবু, ড.
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চলচ্চিত্র সংসদগুলির প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ সংগঠনের কার্যক্রমের বিবরণ দেন। আলোচনায় উঠে আসে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের চ্যালেঞ্জ, দর্শক সংকট, আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের অভাবের মতো বিভিন্ন সমস্যা। একইসাথে, তৃণমূল পর্যায়ে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশ, নতুন দর্শক তৈরি এবং স্থানীয় প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়ার মতো সম্ভাবনাগুলিও সম্মেলনে গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র চলচ চ ত র স স ফ ল ম স স ইট
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায়বিচার হয়েছে, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় যে রায় হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই বিচার, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ।
আজ সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিদের অপরাধের তুলনায় এই সাজা যথেষ্ট কম। কিন্তু আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নাই।
আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক, যত দীর্ঘদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে পরিচালিত করুক, ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় তাঁদের দাঁড়াতেই হবে।
আরও যেসব মামলা আছে, সেই মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে যাতে এই রাষ্ট্রে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম না করতে পারে, ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে, একনায়কতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার একটি উদাহরণ। এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা। শুধু অতীতের জন্য বিচার নয়, এটা মনে রাখতে হবে।