আমি ইতিহাস নয়, সিনেমার জন্য কাজ করছি: জুলিয়েট বিঞ্চ
Published: 13th, May 2025 GMT
বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিঞ্চ এবারের ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫-এ জুরি সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে ২০১০ সালে আব্বাস কিয়ারোস্তামির Copie conforme ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এই উৎসবেই সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
উৎসবে অংশ নিতে গত ১২ মে উৎসব শহর লা ক্রোয়াজ়েতে পা রাখেন বিঞ্চ। সেখানে ফ্রান্স ইন্টারকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই এউ উৎসব ও ক্যারিয়ারের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ করেন তিনি। সাক্ষাৎকারের প্রথমেই তিনি বলেন, আমি যেন এখানেই জন্মেছিলাম। চলচ্চিত্র নিয়েই জন্মেছিলাম। তবে সাংবাদিকরাই আমাকে এখানে আজকের এই অবস্থানে তুলে এনেছিল।”
৪০ বছরের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জুলিয়েট বিঞ্চ বলেন ১৯৮৫ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে, Rendez-vous ছবির জন্য প্রথমবার কানের মঞ্চে পা রেখেছিলাম। তখন মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। আমি জানতাম না কোথায় যাচ্ছি, কী হবে। তবু ‘হ্যাঁ’ বলেছিলাম জীবনের সব ডাককে। ভয় নয়, এমন জায়গায় উপস্থিত থাকার প্রবল ইচ্ছা কাজ করেছিল। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো, নিজেকে সাহসের সঙ্গে তুলে ধরার প্রবল চেষ্টা ছিল আমার মাঝে।
জুরি সভাপতির ভূমিকায় তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন — কোন ছবি পুরস্কার পাবে, সেই প্রশ্ন তাঁকে খুব একটা ভাবায় না। তার ভাষ্য, এটা নির্ধারণমূলক হলেও এক অর্থে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, আমি বা আমরা ইতিহাস নয়, সিনেমার বর্তমান সময়ের জন্য কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “জুরিতে আমার কণ্ঠ শুধু একটি সিদ্ধান্ত সম্মিলিত।”
জুলিয়েট বিঞ্চ ২০২৪ সালেপাম দ’অর সম্মাননা তুলে দেন মেরিল স্ট্রিপের হাতে। সে মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, কেঁদে ফেলেছিলেন। বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, তিনি নারীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। যখন তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখনকার সৌন্দর্যের প্রচলিত ধারণার মধ্যে তিনি পড়তেন না। তবু তিনি সব বদলে দেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, একজন অভিনেত্রীর বার্বি ডলের মতো চেহারা না হলেও তার শিল্পে কোনো ঘাটতি নেই।”
একজন অভিনেত্রীকে সকল প্রশ্নের ও অবহেলার প্রতিশোধ তার কাজ দিয়েও দিতে হয়। বিশেষ কর মিটু আন্দোল নিয়েও সরব তিনি। তার ভাষ্য, নারীরা কী বলছেন, সেটা শুধু মুখে নয় — তাদের অভিনীত চরিত্রগুলোর ভেতরেও খুঁজে পাওয়া যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।