প্রথম সরকারি সফরে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে তিন দিনের সফর হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রথম সৌদিতে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ৪৯ মিনিটে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ রিয়াদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের সময় এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো তাকে ঘিরে রাখে, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
রিয়াদ রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে রাজকীয় বেগুনি কার্পেট বিছানো হয়। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানান। পরে টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা, এরপর ট্রাম্প নিজ হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন।
আরো পড়ুন:
৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন
যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় মার্কিন–ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস
সৌদি আরব সফরে ট্রাম্প যুবরাজের সাথে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পাশাপাশি প্রতিনিধিদলের পরিচিতি, সিইওদের সাথে মধ্যাহ্নভোজ, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং সৌদি রয়্যাল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ট্রাম্প একটি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ধনকুবের স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ঐতিহাসিক ও ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ‘দিরইয়াহ’ এবং ‘আত-তুরাইফ’ ঘুরে দেখবেন। দিনশেষে যুবরাজের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
আগামীকাল বুধবার উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন ট্রাম্প। সেদিনই কাতার সফরে যাবেন তিনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরের মধ্য দিয়ে তার তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তার এ সফরের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো।
উপসাগরীয় দেশগুলোর বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তহবিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে সেটাকে বিশেষ অর্জন হিসেবে প্রচার করবেন ট্রাম্প। দেশে ফিরে তিনি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সাফল্যের কথা প্রচার করতে পারবেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলম অসুস্থ, নেওয়া হলো হাসপাতালে
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে এসে এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন তিনি। পরে রাতের কোনো এক সময়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান বলেন, আজ শুক্রবার সকালে হিরো আলমকে শয়ন কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে নেওয়া হয় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম অতিমাত্রায় ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেছেন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেলা দেড়টার দিকে হিরো আলমের সঙ্গে থাকা বন্ধু জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হিরো আলমকে নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তবে এখনো পৌঁছাতে পারেননি।
ধুনটের ভান্ডারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান আরও বলেন, হিরো আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সখ্য আছে তাঁর। সেই সুবাদে তাঁর বাসায় যাতায়াতও আছে। গতকাল রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে ভান্ডারবাড়িতে আসেন হিরো আলম। এরপর তাঁর স্ত্রী রিয়ামণির সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য অনেক কান্নাকাটি করেন। হতাশাও প্রকাশ করেন। এরপর না খেয়ে একটি ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ১০টার দিকে সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে জাহিদ হাসান দেখেন হিরো আলম অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।