থানা থেকে পালানো আওয়ামী লীগ নেতার ‘আত্মসমর্পণ’, পুলিশের দাবি ধরে আনা হয়েছে
Published: 13th, May 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন (৫২) পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা। তাঁরা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে নাসিরউদ্দিন একটি মাইক্রোবাসে করে থানায় গেছেন।
তবে থানা–পুলিশের দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাশের গোপালগঞ্জ জেলা থেকে মো.
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে নিজের টিন বিক্রির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে নাসিরউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান। এরপর তাঁর বড় ভাই স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলীকে (৫৫) থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ সম্পর্কে আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিন আত্মসমর্পণ করেননি; গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গোপালগঞ্জ থেকে ধরে এনেছে। তাঁকে বিস্ফোরক কিংবা অন্য কোনো আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওসি হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নাসিরউদ্দিনের ভাই নবাব আলী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি গ্রেপ্তার দেখানো হবে—এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুনথানা থেকে ‘পালালেন’ আওয়ামী লীগ নেতা, ধরে আনা হলো বড় ভাইকে১২ ঘণ্টা আগেনাসিরউদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই নাসিরউদ্দিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ সকালে আলফাডাঙ্গা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। ভয় পেয়ে ভাই থানা থেকে পালিয়ে যান। আমরা তাঁকে বহু খোঁজাখুঁজি করি। তাঁর সঙ্গে মুঠোফোন ছিল না; যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। আজ ভোরে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করার পর তাঁকে থানায় আত্মসমর্পণ করার পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ করেন।’
তৈয়বুর রহমান আরও বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করেন; কিন্তু কোনো মামলার আসামি নন। তিনি কেন পালিয়ে বেড়াবেন? আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স রউদ দ ন আলফ ড ঙ গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইডেনে স্পিন বিষ, ১৫ উইকেটের দিনে উড়ছে ভারত
ভারতকে প্রথমে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা। স্পিনাররা ইডেনের ২২ গজকে স্রেফ রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছিল। বল সারাদিন ছোবল দিল।
অসমান বাউন্সে প্রতিকূল উইকেট। যেখানে সারাদিন ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল লেগেছিল। কলকাতার নন্দনকাননে ১৫ উইকেটের দিন দেখল সমর্থকরা। যার ১২টিই নিয়েছেন স্পিনাররা।
দিন শেষে হাসিটা ফুটেছে ভারতের মুখে। ভারত ১ উইকেটে ৩৭ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল। শনিবার দ্বিতীয় দিনে তাদের ইনিংস আটকে যায় ১৮৯ রানে। এতে ৩০ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নেমেই এলোমেলো হয়ে যায় কুলদীপ যাদব ও রাভীন্দ্র জাদেজার বোলিংয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের স্কোরবোর্ডের চিত্র এরকম, ৯৭/৭। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে তাদের লিড কেবল ৬৩ রান।
জাদেজা ৪ ও কুলদীপ পেয়েছেন ২ উইকেট। অক্ষরের শিকার ১টি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া জসপ্রিম বুমরাহ এখন পর্যন্ত উইকেটশূন্য।
প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ২৯ ও করবিন বোস ১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। আউট হওয়া ৭ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল রায়ান রিকেলটন ও উইয়ান মুল্ডার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন। দুজনই ১১ রান করে করেন।
এর আগে, দিনের শুরুতে ভারত হোঁচট খায় গিলকে হারিয়ে। ঘাড়ের চোটে মাঠ ছেড়ে গিল উঠে যান ৪ রানে। এরপর যারা এসেছেন কেউ ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। রিশাভ পান্ত ও জাদেজা ২৭ রানের দুটি ইনিংস খেলে। সুন্দরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। এছাড়া ধ্রুব জুরেল ১৪ ও অক্ষর পাটেল ১৬ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেন সাইমন হারমার। ৩ উইকেট পেয়েছেন মার্কো জানসেন।
ইডেনের ফাটল ধরা ২২ গজে প্রথম দুদিনেই ২৬ উইকেট নেই। সামনে কী অপেক্ষা করছে বোঝাই যাচ্ছে।
ঢাকা/ইয়াসিন