পুতিন ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বসবেন না জেলেনস্কি
Published: 13th, May 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত থাকলেই কেবল প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় যোগ দেবেন। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শীর্ষ সহযোগী এ কথা বলেছেন।
ইউক্রেনের নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করার পর রবিবার পুতিন ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সাথে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প তখন প্রকাশ্যে জেলেনস্কিকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলেছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক রয়টার্সকে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইস্তাম্বুলে পুতিন ছাড়া অন্য কোনো রাশিয়ান প্রতিনিধির সাথে দেখা করবেন না।”
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেছেন, জেলেনস্কির তুরস্ক সফর দেখিয়েছে যে কিয়েভ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে যেকোনো আলোচনা যুদ্ধবিরতির পরেই হতে হবে।
কোপেনহেগেন সফরের সময় ইয়েরমাক বলেন, “আমাদের অবস্থান অত্যন্ত নীতিগত এবং অত্যন্ত দৃঢ়।”
পুতিন তুরস্ক ভ্রমণ করবেন কিনা তা মস্কো এখনো জানায়নি।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় অনুসন্ধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেন। এই সংঘাতের ফলে উভয় পক্ষের লাখ লাখ সেনা নিহত হয়। ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ কিয়েভকে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য জোট বেধেছে। অন্যদিকে রাশিয়া সমর্থনের জন্য ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার দিকে ঝুঁকেছে।
ট্রাম্প দুই দেশকে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে শিগগিরই অগ্রগতির স্পষ্ট লক্ষণ না হলে শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র প রস ত বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ