শিরোপা ধরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা
Published: 13th, May 2025 GMT
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লক্ষ্যে আবারও লড়াইয়ে নামতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে শক্তির কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না দলটি। সেই লক্ষ্যেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে এক ব্যালান্সড ও অভিজ্ঞতায় ভরপুর ১৫ সদস্যের দল।
দলে ফিরেছেন চোট কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, নির্ভরযোগ্য পেসার জশ হ্যাজেলউড এবং পেস-অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন। আগামী ১১ জুন ঐতিহাসিক লর্ডসের মাঠে শুরু হবে শিরোপা রক্ষার সেই গুরুত্বপূর্ণ মিশন।
গতবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জয় পেয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল অজিরা। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতিটি বিভাগেই আনা হয়েছে ভারসাম্য। কামিন্সের নেতৃত্বে পেস আক্রমণ সাজানো হয়েছে স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও স্কট বোল্যান্ডকে ঘিরে। স্পিন বিভাগে আছেন নাথান লায়ন এবং ম্যাট কুহনেম্যান।
আরো পড়ুন:
ফাইনালে ভারত না থাকায় ক্ষতি ৬৩ কোটি
মুশফিকুরের থেকে তামিমের চাওয়া ‘অন্তত ১০০ টেস্ট’
অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন ক্যামেরুন গ্রিন, উঠতি প্রতিভা স্যাম কনস্টাস এবং বো ওয়েবস্টার। উইকেটের পেছনে মূল ভরসা অ্যালেক্স ক্যারি, ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছেন জশ ইংলিস। ব্যাটিং লাইনআপে এক ঝাঁক অভিজ্ঞ মুখ—উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেইন, স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেড। স্মিথ থাকছেন সহ-অধিনায়কের ভূমিকায়।
নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, “আমাদের এই স্কোয়াডে রয়েছে অভিজ্ঞতার গভীরতা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভারসাম্য। উপমহাদেশ সফরে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা ফাইনালের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
এই একই দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও অংশ নেবে।
অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত স্কোয়াড:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, স্কট বোল্যান্ড, ক্যামেরুন গ্রিন, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেইন, স্টিভ স্মিথ (সহ-অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, ম্যাট কুহনেম্যান, নাথান লায়ন, অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ইংলিস, স্যাম কনস্টাস, বো ওয়েবস্টার।
ভ্রমণ রিজার্ভ: ব্রেন্ডন ডগেট।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে
রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”
আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”
হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”
স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ