বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লক্ষ্যে আবারও লড়াইয়ে নামতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে শক্তির কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না দলটি। সেই লক্ষ্যেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে এক ব্যালান্সড ও অভিজ্ঞতায় ভরপুর ১৫ সদস্যের দল।

দলে ফিরেছেন চোট কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, নির্ভরযোগ্য পেসার জশ হ্যাজেলউড এবং পেস-অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন। আগামী ১১ জুন ঐতিহাসিক লর্ডসের মাঠে শুরু হবে শিরোপা রক্ষার সেই গুরুত্বপূর্ণ মিশন।

গতবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জয় পেয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল অজিরা। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতিটি বিভাগেই আনা হয়েছে ভারসাম্য। কামিন্সের নেতৃত্বে পেস আক্রমণ সাজানো হয়েছে স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও স্কট বোল্যান্ডকে ঘিরে। স্পিন বিভাগে আছেন নাথান লায়ন এবং ম্যাট কুহনেম্যান।

আরো পড়ুন:

ফাইনালে ভারত না থাকায় ক্ষতি ৬৩ কোটি

মুশফিকুরের থেকে তামিমের চাওয়া ‘অন্তত ১০০ টেস্ট’

অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন ক্যামেরুন গ্রিন, উঠতি প্রতিভা স্যাম কনস্টাস এবং বো ওয়েবস্টার। উইকেটের পেছনে মূল ভরসা অ্যালেক্স ক্যারি, ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছেন জশ ইংলিস। ব্যাটিং লাইনআপে এক ঝাঁক অভিজ্ঞ মুখ—উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেইন, স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেড। স্মিথ থাকছেন সহ-অধিনায়কের ভূমিকায়।

নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, “আমাদের এই স্কোয়াডে রয়েছে অভিজ্ঞতার গভীরতা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভারসাম্য। উপমহাদেশ সফরে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা ফাইনালের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”

এই একই দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও অংশ নেবে।

অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত স্কোয়াড:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, স্কট বোল্যান্ড, ক্যামেরুন গ্রিন, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেইন, স্টিভ স্মিথ (সহ-অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, ম্যাট কুহনেম্যান, নাথান লায়ন, অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ইংলিস, স্যাম কনস্টাস, বো ওয়েবস্টার।

ভ্রমণ রিজার্ভ: ব্রেন্ডন ডগেট।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজ অনেক

ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভা প্রদেশের দুটি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো অনুসন্ধান অভিযান চলছে। খবর রয়টার্সের।

দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সিলাকাপ শহরে ভূমিধসে সিবেউনিং গ্রামের এক ডজন বাড়ি চাপা পড়ে। ৩ থেকে ৮ মিটার (১০ থেকে ২৫ ফুট) গভীরে লোকজন চাপা পড়ায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চ্যালেঞ্জিং ছিল।

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার স্থানীয় বিভাগের প্রধান এম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সিলাকাপ ভূমিধসে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।

নিউজ চ্যানেল কমপাসটিভির ফুটেজে দেখানো হয়েছে, সিলাকাপে মাটি খুঁড়তে খননকারীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, মধ্য জাভার বানজারনেগারা অঞ্চলে শনিবার ভূমিধসের পর দুজন নিহত এবং ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা সোমবার জানিয়েছে। এতে ৩০টিরও বেশি বাড়ি এবং খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির বর্ষা মৌসুম সেপ্টেম্বরে শুরু হয় এবং এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বর্ষা মৌসুম দেশটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যার উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে আসে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ