মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধীনে আটক থাকা ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে তাঁর নিজ শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি। নিজ দেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে আরেক দেশের কারাগারে আটক থাকলেও তা তাঁর জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, ফিলিপাইনের দাভাও শহরের মেয়র নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে আট গুণেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দুতার্তে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাঁর ‘মাদকবিরোধী লড়াই’-এ হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। এ অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে– এমন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হেফাজতে আছেন দুতার্তে। মার্চে আইসিসির অনুরোধে সাবেক প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করে ফিলিপাইনের পুলিশ। তার পর থেকে নেদারল্যান্ডসের হেগে কারাবন্দি আছেন তিনি।

এদিকে অভিশংসনের সম্মুখীন দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত। তবে তাঁর দুই ছেলে জয় পেয়েছেন। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করছেন। যদি সিনেটরদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি তাঁকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়, তাহলে রাজনীতি থেকে তাঁর নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা আছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল প ইন ফ ল প ইন র অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

এনবিআর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আইএমএফ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার ঘিরে কর্মকর্তাদের আন্দোলন এবং সার্বিক রাজস্ব সংস্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ। এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধিদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের পর রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। ডেপুটি মিশন প্রধান আইভো ক্রিজনার এবং বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন।

রাজস্ব নীতি এবং ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে আইএমএফের পরামর্শ রয়েছে। সরকার এ দুটি কার্য্রক্রম আলাদা করতে যে অধ্যাদেশ জারি করেছিল, তার বিরোধিতা করে এবং এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে সারাদেশে কর কর্মকর্তাদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এতে রাজস্ব আদায় কার্য্রক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, ‘আমরা যেসব সংস্কারের তাগিদ দিচ্ছি, তা নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আমাদেরকে হালনাগাদ পরিস্থিতি জানাচ্ছেন। জনগণকে এটি স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন যে, সরকার যেসব প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা দরকার।’

বাংলাদেশে নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখনকার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনীতিতে অনেক চ্যালেঞ্জিং উপাদান রয়েছে। বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং ভূ-রাজনৈতিক, স্থানীয় ইস্যুতে নানা অনিশ্চয়তা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নই। তবে আমরা মনে করি, নির্বাচনের সময় নির্ধারণে বিনিয়োগের স্পর্শকাতরতার সম্পর্ক রয়েছে, যা বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি রিপোর্টে আইএমএফ উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমরা প্রত্যাশা করি অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। নির্বাচনের সময় স্থির হওয়ায় আমরা মনে করি, বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কম। আমরা মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ