ডিপ্লোমা ও বিএসসি নার্সদের সংঘর্ষে আহত ১০
Published: 14th, May 2025 GMT
রাজশাহী নার্সিং কলেজে হামলা-পাল্টা হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ নানা দাবিতে আলাদা ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় যান ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন। সেখানে বিএসসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা অশোভন আচরণ করে। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হলে শুরু হয় উত্তেজনা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা কলেজের বাইরে এসে গেটে অবস্থান নেন। বিএসসি শিক্ষার্থীরা গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয়। এ সময় ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীরা গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তাদের উপস্থিতিতেই বিএসসির এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ডিপ্লোমার এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই ভাঙা হয় গেট। শুরু হয় দুই পক্ষের ইট ছোড়াছুড়ি। হামলা-পাল্টা হামলা, মারধরের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়।
রাজশাহী নগর পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতনরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের এক দিন পর বস্তায় শিশুর ঝলসানো লাশ
ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিখোঁজের এক দিন পর রোজা মনি নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, হত্যার আগে অথবা পরে গরম পানি বা দাহ্য কিছু দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেওয়া হয়।
বুধবার (১৪ মে) সকালে তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক এস আই আব্দুল কাদের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি রাইজিংবিডিকে জানান। তবে কে বা কারা কেন শিশুটিকে হত্যা করে শরীর ঝলসে দিয়েছে এখনও জানা যায়নি বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশু রোজা মনি। তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন; এলাকায় মাইকিংও করা হয়।
পরের দিন বেলা ১১টার দিকে বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার স্তূপে বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে বস্তার ভেতরে মেলে রোজা মনির নিথর দেহ। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
শিশুটির মা তার সাত সন্তানকে নিয়ে তজকুনিপাড়া এলাকায় থাকেন। বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। প্রবাসে বাবার তেমন উপার্জন না থাকায় তেজজুনি পাড়ায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায় একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নেন। শিশুর মা গৃহকর্মীর কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ওই শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।