চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আজ বুধবার (১৪ মে)। সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। বেলা ১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।

এদিকে ৫ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১.


কনভোকেশন কার্ড হস্তান্তরযোগ্য নহে এবং ইহা প্রদর্শন করে গাউন ও টুপি নিতে হবে। খাবার সংগ্রহের সময় অনুষ্ঠান স্থলের প্রবেশ (আইডি) কার্ড অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে।
২.
অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটদের ১৪/৫/২০২৫ তারিখ দুপুরের খাবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কুপন জমাপূর্বক সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউট/নির্দিষ্ট বুথ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
৩.
৫ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী সকলকে দুপুর ১.০০ টার মধ্যে অবশ্যই অনুষ্ঠানের মূল প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে হবে এবং অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে প্যান্ডেল ত্যাগ করা যাবে না।
৪.
গ্র্যাজুয়েটদের ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ১নং মূল গেট (হাটহাজারি রোড) থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার জন্য ১নং গেট থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। গ্র্যাজুয়েটদের যাতায়াতের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট যথা - ষোলোশহর শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট, জামেয়াতুল ফালাহ, পলিটেকনিক মোড় (ফ্লাইওভার থেকে নেমে) থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। সমাবর্তন দিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের সময়সূচি ও পরিবহন বিষয়ক বিস্তারিত দিক-নির্দেশনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://www.cu.ac.bd) পাওয়া যাবে।
৫.
যে সব গ্র্যাজুয়েট অঙ্গীকারনামা আপলোড করে রেজিস্ট্রেশন করেছেন অথবা যাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড নাই, অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন কার্ড অথবা ফিস বাবদ ৩০০/- (তিন শত) টাকার পে-অর্ডার নিয়ে আসবেন, যা গাউন নেওয়ার সময় অবশ্যই জমা দিতে হবে।

বিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ<br>তুরস্কের কোক বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, দেখুন বিস্তারিতউচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, বেতন কম, কারিগরিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

৬.
যে সব গ্র্যাজুয়েট ইতিমধ্যে সাময়িক সনদ/মূল সনদ নিয়েছেন, তারা অবশ্যই সাময়িক সনদ/মূল সনদের মূল (Original) কপি একটি খামে করে (খামের ওপরে নাম, আইডি, বিভাগ/কলেজের নাম লিখতে হবে) নিয়ে আসবেন, গাউন নেওয়ার সময় তা অবশ্যই জমা দিতে হবে। মূল সনদ/সাময়িক সনদের মূল (Original) কপি জমা দেওয়া ছাড়া গাউন সংগ্রহ করা যাবে না।
৭.
গ্র্যাজুয়েটেরা তাদের গাউন এবং মূল সনদ/সাময়িক সনদ ও অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা-উত্তোলন এবং গিফট আইটেম ও খাবারের কুপন তাদের বিভাগ/ইনস্টিটিউট/নির্দিষ্ট বুথ থেকে সংগ্রহ করবেন। অধিভুক্ত কলেজসমুহের জন্য নির্দিষ্ট বুথ থাকবে। গ্র্যাজুয়েটগণ সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে যোগাযোগ করবেন। চিকিৎসা অনুষদের অধীন মেডিকেল, নার্সিং ও অন্যান্য কলেজসমূহের বুথের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, চবি । ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমুহের বুথের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, চবি। চারুকলা ইনস্টিটিউটের বুথের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ডিন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, চবি । সিইউসিবিএ এর বুথের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ডিন, বাণিজ্য অনুষদ, চবি । গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বুথের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ডিন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ, চবি
৮.
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৪.৩০ টা থেকে রাত ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউট/নির্দিষ্ট বুথে গাউন ফেরত দিয়ে মূল সনদ ও উপহারসামগ্রী সংগ্রহ করবেন। যথাসময়ে অক্ষত অবস্থায় গাউন ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে সনদ সংগ্রহের সময় নগদ ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকা জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
৯.
অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটদের প্রদত্ত টুপি গিফট হিসেবে বিবেচিত হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ব্যাগ, ছাতা, ক্যামেরা, টেপরেকর্ডার বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা যাবে না।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ম ল সনদ ক সনদ র সময

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত হাঁটলে আয়ু বাড়ে: গবেষণা

জিম বা ব্যামাগারে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? চিন্তার কিছু নেই, প্রতিদিনের রুটিনে অন্তত ১৫ মিনিট দ্রুত হাঁটা যোগ করলেই সুস্থ থাকা সম্ভব। নতুন গবেষণায় এমনটাই জানা গেছে।

গবেষণার প্রধান লেখক ড. ওয়েই ঝেং বলেন, সাধারণত সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করলে যথেষ্ট স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু যদি ১৫০ মিনিট সময় বের করা কঠিন হয়, তাহলে প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫ মিনিট দ্রুত হাঁটলেও একই উপকার পাওয়া যায়।

২০০২ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে গবেষক দল মূলত কম আয়ের ও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে গবেষণা চালায়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৮৫ হাজার মানুষকে ব্যায়ামের অভ্যাস, গড় সময়, হাঁটার গতি ও স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্নপত্র পূরণ করতে বলা হয়। ১৬ বছর পর ২০২৩ সালে আবার তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়।

ঝেং বলেন, আমরা জানি, দ্রুত হাঁটা ধীর হাঁটার তুলনায় ভালো। কিন্তু গড়ে কত মিনিট দ্রুত হাঁটা উচিত, সে বিষয়ে গবেষণা কম। গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট দ্রুত হাঁটা মানুষের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২০ শতাংশ কমিয়েছে। যেখানে ধীরে হাঁটা মানুষের ক্ষেত্রে (যাঁরা দিনে ৩ ঘণ্টার বেশি হাঁটতেন) এই হার মাত্র ৪ শতাংশ।

গবেষণায় যুক্ত ছিলেন না এমন একজন হচ্ছেন ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জানা যাচ্ছে যে হাঁটার গতি স্বাস্থ্যের ফলাফলের সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থাৎ যত দ্রুত হাঁটবেন, তত ভালো করবেন। কারণ, খুব অসুস্থ কেউ দ্রুত হাঁটতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক।

স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটার উপকারিতা

হাঁটা শরীরের ওজন ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, শরীরের বিভিন্ন সংযোগের ব্যথা লাঘব করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

নিয়মিত ব্যায়ামে রক্তনালিগুলো শিথিল হয়, কোলেস্টেরল কমে, ক্যানসার ও অন্য অনেক রোগের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন হাঁটা আলঝেইমার বা স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকিও কমায়। এ ছাড়া এটি ঘুম ভালো করে, প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্কের গঠন উন্নত করে।

ঝেং বলেন, ধীরে বা দ্রুত—যেকোনো হাঁটাই কিছু না কিছু উপকার দেয়। তবে দিনে মাত্র ১৫ মিনিট দ্রুত হাঁটার সুফল আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে। এটি হার্ট ফেইলিওর, অনিয়মিত হার্টবিট ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

ড. ফ্রিম্যানের মতে, ব্যায়াম রক্তচাপ কমানোর অন্যতম কার্যকর উপায়। রক্তচাপ ১২০-এর ওপরে প্রতি ২০ পয়েন্ট বাড়লে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ হয়। নিয়মিত ব্যায়াম এই ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।

হৃৎপিণ্ডের গতি বাড়ান

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, আপনি যদি কথা বলতে পারেন কিন্তু গান গাইতে না পারেন, তবে বুঝবেন আপনি দ্রুত হাঁটছেন। চাইলে মেট্রোনোম বা মাত্রামাপক যন্ত্র ব্যবহার করে হাঁটার গতি বাড়াতে পারেন।

ফ্রিম্যানের পরামর্শ, কাজের আগে সকালে দ্রুত হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার বা পছন্দের ব্যায়াম করুন। সুযোগ থাকলে বিনোদনকেন্দ্রে যান বা বাইরে হাঁটুন।

সোজা দাঁড়িয়ে সঠিক ভঙ্গিতে কাঁধ পেছনে রেখে হাঁটলে এবং সঙ্গে হাত দোলাতে থাকলে সেটা পিঠের ব্যথা কমায়, শ্বাসপ্রক্রিয়া সহজ করে এবং ভারসাম্য ঠিক রাখে। হাঁটার সময় হাতের দোল পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিপরীত দিকে হওয়া উচিত।

আরও এক ধাপ এগোতে চাইলে, ব্যায়ামের সময় নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ার অভ্যাস করুন। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন কর্মীদের ব্র্যাকের মূল্যবোধ জানাতে ব্র্যাক ব্যাংকের ভিন্ন উদ্যোগ
  • দ্রুত হাঁটলে আয়ু বাড়ে: গবেষণা