নিবন্ধন নিয়ে জামায়াতের আপিলের ওপর রায় ১ জুন
Published: 14th, May 2025 GMT
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বুধবার রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল (আংশিক শ্রুত) আগের ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ২০১৩ সালে ওই আপিলটি করে। এই আপিলের সঙ্গে ২০১৩ সালে দলটির করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) এবং প্রতীক বরাদ্দ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে করা একটি আবেদনও একই ক্রমিকে কার্যতালিকায় ওঠে। প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে করা এই আবেদনটি আজ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা শুনানিতে জানান আপিলকারী পক্ষের আইনজীবী।
আদালতে আপিলকারী পক্ষে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, ইমরান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানিতে ছিলেন। ইসির পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।
কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ না দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। চিঠির ভাষ্য, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে ১২ ডিসেম্বর (২০১৬ সালের) ফুল কোর্ট সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, ‘দাঁড়িপাল্লা’ ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত হবে। অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার না করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হোক। চিঠির শেষাংশে বলা হয়, এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভার ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বরাদ্দ প্রদান না করা এবং যদি বরাদ্দ করা হয়ে থাকে তাহলে ওই বরাদ্দ বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন। এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। এরপর আরও কয়েক দিন শুনানি হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়। প্রতীক বরাদ্দ বিষয়ে দলটির করা একটি আবেদন গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত ১৩ মে (গতকাল মঙ্গলবার) আপিলের সঙ্গে শুনানির জন্য আবেদনটি ট্যাগ (একসঙ্গে) করেন। গতকাল ও আজ শুনানি হয়।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা ওই বছরই আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি।
তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ ২০১৩ স ল ড স ম বর আইনজ ব ন র জন র আপ ল ট র কর আপ ল র ন আপ ল বর দ দ র জন য আগস ট ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফের মা হতে যাচ্ছেন সোনম কাপুর
ফের মা হতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। আনন্দ আহুজা-সোনম কাপুর দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান। পিঙ্কভিলা এ খবর প্রকাশ করেছে।
সোনম-আনন্দ আহুজা দম্পতির ঘনিষ্ঠ সূত্র পিঙ্কভিলাকে বলেন, “সোনম এখন গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রয়েছেন। তার মা হতে যাওয়ার খবরে দুই পরিবারেই অপার আনন্দ বিরাজ করছে। খুব শিগগির এই সুখবরটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন এই দম্পতি।”
আরো পড়ুন:
আমি আর গোবিন্দ ১৫ বছর ধরে আলাদা থাকি: সুনীতা আহুজা
আমি হৃদয় ভাঙার ভয় নিয়ে বাঁচতে চাই না: বিবেক
প্রথমবার গর্ভাবস্থায় সোনম কাপুর চমৎকার ফটোশুট করেছিলেন, যেখানে আবু জানি সান্দীপ খোসলার পোশাক পরে মাতৃত্বকালীন ফ্যাশনকে নতুন এক মাত্রা দিয়েছিলেন। অনন্য স্টাইলের জন্য সুপরিচিত সোনম বরাবরই ফ্যাশনের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে এসেছেন। এবারো তার মাতৃত্বকালীন সাজ-পোশাক কেমন হবে তা দেখার জন্য উদগ্রীব তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৮ সালের ৮ মে আনন্দ আহুজার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সোনম কাপুর। এরপর স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান। স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। ২০২২ সালের ২০ আগস্ট, পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সোনম। এটি তাদের প্রথম সন্তান।
প্রথম সন্তান জন্মের পর দুই বছরের বিরতি নিয়ে ২০২৩ সালে ‘ব্লাইন্ড’ সিনেমায় অভিনয় করেন সোনম কাপুর। এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায়। এরপর নতুন কোনো সিনেমার কাজ হাতে নেননি এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত