পূর্ব বিরোধের জেরে নড়াইলের লোহাগড়ায় খাজা মোল্যা (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাজা মোল্যা পার-ইচাখালি গ্রামের নওয়াব আলী ওরফে লবা মোল্যার ছেলে এবং পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।

এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বুধবার সকালে খাজা মোল্যা বাড়ি থেকে চা পানের উদ্দেশে কুমারডাঙ্গা বাজারে যান। সেখানে প্রতিপক্ষ ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কুমারডাঙ্গা গ্রামের পলাশ শেখের নেতৃত্বে এসকেন্দার, ইনসান, রবিউল, শরিফুল, রহমতুল্লাহ, সাইফুল, লাহাব, রাসেল, রাহাত, রনি, মান্না ও মাসুমসহ ১৫/২০ জন ধারালো অস্ত্রসহ কুমারডাঙ্গা বাজারে রবিউলের দোকানের সামনে বসে থাকা অবস্থায় খাজা মোল্যাকে ঘিরে ফেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিকুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বোন রেখা বেগম ও ভাবি ফাতেমা খানম বলেন, পলাশ শেখসহ তার লোকজন এলাকায় দীঘদিন ধরে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে ভয়ভীতি ও নাশকতা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। চর এলাকার বিরোধপূর্ণ জমির ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে খাজা চা খেতে কুমরডাঙ্গা বাজারে গেলে পলাশের নেতৃত্বে তার লোকজন খাজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। প্রশাসনের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

এ অভিযোগের ব্যাপারে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখ বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল হ গড় ক প য় হত য ক ম রড ঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্বামীর দুধ দিয়ে গোসল

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন স্বামী তাইফুল ইসলাম। আনন্দ প্রকাশ করে ছেলে মিনহাজ শেখকে (১০) সঙ্গে নিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের তাইফুল ইসলাম এক যুগ আগে ভাঙ্গা উপজেলার রোজিনা বেগমের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। তবে সংসার জীবনে নানা ধরনের কলহ ও নির্যাতনের অভিযোগে সম্পর্ক দিন দিন তিক্ত হয়ে ওঠে। অবশেষে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে তিনি স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক দেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার ছেলে মিনহাজ শেখকে সঙ্গে নিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেন। তবে তালাক পরবর্তী এমন ব্যতিক্রমী আচরণ এলাকায় কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

তাইফুল ইসলাম দাবি করেন, গত ১২ বছর তারা বাবা-ছেলে ভীষণ কষ্টে দিন কাটিয়েছেন। নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সেই অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। তাই আনন্দ প্রকাশে তারা বাবা-ছেলে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।

আরো পড়ুন:

বাকৃবিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে নানা আয়োজন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীর মতে, দাম্পত্য জীবনের কলহ এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসা দুঃখজনক। তবে তালাক পরবর্তী এমন ব্যতিক্রমী আচরণ এলাকায় কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

ঢাকা/বাদল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ