চায়ের দোকানে কৃষককে ১৫-১০ জনে মিলে কুপিয়ে হত্যা
Published: 14th, May 2025 GMT
পূর্ব বিরোধের জেরে নড়াইলের লোহাগড়ায় খাজা মোল্যা (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাজা মোল্যা পার-ইচাখালি গ্রামের নওয়াব আলী ওরফে লবা মোল্যার ছেলে এবং পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বুধবার সকালে খাজা মোল্যা বাড়ি থেকে চা পানের উদ্দেশে কুমারডাঙ্গা বাজারে যান। সেখানে প্রতিপক্ষ ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কুমারডাঙ্গা গ্রামের পলাশ শেখের নেতৃত্বে এসকেন্দার, ইনসান, রবিউল, শরিফুল, রহমতুল্লাহ, সাইফুল, লাহাব, রাসেল, রাহাত, রনি, মান্না ও মাসুমসহ ১৫/২০ জন ধারালো অস্ত্রসহ কুমারডাঙ্গা বাজারে রবিউলের দোকানের সামনে বসে থাকা অবস্থায় খাজা মোল্যাকে ঘিরে ফেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিকুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বোন রেখা বেগম ও ভাবি ফাতেমা খানম বলেন, পলাশ শেখসহ তার লোকজন এলাকায় দীঘদিন ধরে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে ভয়ভীতি ও নাশকতা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। চর এলাকার বিরোধপূর্ণ জমির ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে খাজা চা খেতে কুমরডাঙ্গা বাজারে গেলে পলাশের নেতৃত্বে তার লোকজন খাজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। প্রশাসনের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এ অভিযোগের ব্যাপারে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখ বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল হ গড় ক প য় হত য ক ম রড ঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায়বিচার হয়েছে, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় যে রায় হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই বিচার, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ।
আজ সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিদের অপরাধের তুলনায় এই সাজা যথেষ্ট কম। কিন্তু আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নাই।
আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক, যত দীর্ঘদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে পরিচালিত করুক, ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় তাঁদের দাঁড়াতেই হবে।
আরও যেসব মামলা আছে, সেই মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে যাতে এই রাষ্ট্রে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম না করতে পারে, ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে, একনায়কতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার একটি উদাহরণ। এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা। শুধু অতীতের জন্য বিচার নয়, এটা মনে রাখতে হবে।