প্রথমবার আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় মিরাজ
Published: 14th, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ‘এপ্রিল মাসের সেরা খেলোয়াড়’ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউ জিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে।
ক্যারিয়ারে এই প্রথম মিরাজ আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার পুরস্কার জিতলেন। তবে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও নাহিদা আক্তারের পর চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার জিতলেন তিনি।
এপ্রিল মাসজুড়ে টেস্ট ক্রিকেটে বল ও ব্যাট হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন মিরাজ। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে মিরাজ ছিলেন দারুণ সব্যসাচী। সিলেট টেস্টে দল হারলেও বল হাতে দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে মোট ১০ উইকেট তুলে নিয়ে আলো ছড়ান।
আরো পড়ুন:
ফাইনাল সামনে রেখে দল ঘোষণা করলো দ.
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সিরিজের সূচি
তার ধারাবাহিকতা আরও জ্বলে ওঠে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে। সেই ম্যাচে মিরাজ দারুণ অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখান। ব্যাট হাতে দারুণ এক সেঞ্চুরি (১০৪ রান) করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন আরও একবার পাঁচ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয় পায়। তাতে সিরিজে ফেরে সমতা।
দুই ম্যাচের সিরিজে মিরাজ ১১.৮৬ গড়ে শিকার করেন ১৫টি উইকেট। আর ৩৮.৬৬ গড়ে রান করেন ১১৬টি। এই নিখুঁত ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই তাকে এনে দেয় আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার স্বীকৃতি।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড ২০২৫: তিন বিভাগীয় শহরে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন
প্রথমবারের মতো ‘হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড-২০২৫’ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
মানবাধিকার শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষাটি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন গুম তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামসহ বিশিষ্টজন।
পরীক্ষা শেষে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এইচআরএসএস এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো মানবাধিকার অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদের মতো যারা তরুণ আছেন তারা মানবাধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন হবেন এবং ভবিষ্যতে অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য আরও কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি কোনো না কোনোভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি প্রায়ই উদ্বেগজনক ও সংকটাপন্ন থাকে। বাংলাদেশ সেসব দেশের অন্যতম। এদেশের মানুষ হিসেবে তাই আমাদের কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এদেশের সাধারণ অসহায় মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকার জনসেবামূলক অবকাঠামো তৈরি করে। এখানে উপস্থিত সকলেই এইসকল রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুবিধাভোগী হিসেবে দেশের ট্যাক্স প্রদানকারী জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়িত্ব পালতে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশেষত: যেখানেই মানুষ নিপীড়িত হবে সেখানেই আমাদের দায়িত্ব তাদের জন্য কিছু করার।
মানবাধিকার কর্মী ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল বলেন, আমাদের অলিম্পিয়াড আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি সৃষ্টি করা, অংশগ্রহণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানবাধিকারকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। এই অলিম্পিয়াডের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে মানবাধিকার চর্চায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া। যা ভবিষ্যতে আপনাদেরকে মানবাধিকার রক্ষায় সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।