জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান আহরণ বা গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি কেন সংরক্ষণ করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন।

এর আগে ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখা এবং গণহত্যায় (জুলাই-আগস্ট) দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.

তানভীর আহমেদ গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। দেশজুড়ে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য অপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ ও গুরুতর আহতসহ অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে ইতিমধ্যে প্রতিবেদন দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল। ওই প্রতিবেদন গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি মাসে সম্পূরক আবেদনটি করেন রিট আবেদনকারী।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, জড়িতদের বিচারের জন্য গত বছরের আগস্টে রিটটি করা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে রুল দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন দল কাজ করছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে দেখা যায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। এখানে কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, এখানে রাজনৈতিক প্রভাব কেমন ছিল এবং সে সময় বিচারব্যবস্থা কেমন ছিল অর্থাৎ প্রতিবেদনটি যথাযথ। এ প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তাই তিনটি উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি সংরক্ষণ করা উচিত। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।

আরও পড়ুনদায়ীদের সুবিচার নিশ্চিতের তাগিদ ফলকার টুর্কের০৫ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ফার্স্টলেডি এখন মেঝেতে ঘুমান

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কেওন হি বুধবার কারাগারে তার প্রথম দিন কাটাচ্ছেন, ঠিক যেমনটি তার স্বামী এবং সাবেক ইউন সুক ইওল কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দেশটিতে একসময়ের হাই-প্রোফাইল এই দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুনানি চলছে।

কিমকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর পশ্চিম প্রান্তে সিউল নাম্বু ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এটি তুলনামূলকভাবে নতুন সংশোধনাগার যা ২০১১ সালে খোলা হয়েছিল এবং একজন নারী ওয়ার্ডেন দিয়ে পরিচালিত।

বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, অন্যান্য বন্দিদের মতোই আচরণ করা হবে কিমের সঙ্গে। তবে একজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার মর্যাদার কারণে কিমের দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আনা হবে।

ঘুষ, স্টক জালিয়াতি এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের চলমান তদন্তের মধ্যে প্রমাণ নষ্ট করতে পারে বলে আদালত মঙ্গলবার রাতে কিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করে। এরপরই তাকে আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইউনের স্ত্রী কিম দক্ষিণ কোরিয়ায় বিএমডব্লিউয়ের ডিলার ডয়েচ মোটর্সের স্টকের মূল্য কারসাজির একটি পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ ডলারের মালিক হন। এছাড়া তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ফরাসি ফ্যাশন হাউজ চ্যানেলের দুটি হ্যান্ডব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস গ্রহণ করেছিলেন।

কিমের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং অনুগ্রহের বিনিময়ে তিনি যে কিছু উপহার পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে ভিত্তিহীন জল্পনা-কল্পনা সংবাদ প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে কিমের একক কক্ষে একটি ছোট টেবিল রয়েছে যা ডেস্ক ও খাবারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ঘুমানোর জন্য মেঝেতে একটি ম্যাট্রেস দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তার স্নানের জন্য একটি পৃথক স্নানাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। রবিবার ছাড়া প্রতিদিন এক ঘন্টা বাইরে ব্যায়াম করার অনুমতি থাকবে তার।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুদকের নতুন আইনজীবী শাহদীন মালিক
  • সাদাপাথর লুটে জড়িতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
  • রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
  • খুলনা আইনজীবী সমিতির ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে: অডিট
  • প্রাণনাশের আশঙ্কায় রাহুল গান্ধী, আদালতে অভিযোগ
  • বিচার কার্যক্রম বিলম্ব করতে চাইলে ‘টুঁটি চেপে’ ধরবেন ট্রাইব্যুনাল
  • সাবেক ফার্স্টলেডি এখন মেঝেতে ঘুমান
  • কাঠগড়ায় কাঁদলেন এনবিআরের সেই মতিউর, আদালত বললেন, ‘দুদকের জালে এখন হাজার মতিউর’
  • শেখ হাসিনার আইনজীবী হতে চাইলেন জেড আই খান পান্না, খারিজ করলেন ট্রাইব্যুনাল
  • জামিন চেয়ে বিচারপতি খায়রুল হকের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত কক্ষে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি