শিশুকে ধর্ষণের পর লুকিয়ে রাখা হয় ড্রামে
Published: 15th, May 2025 GMT
খুলনায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনা জানাজানির ভয়ে ওই ছাত্রীকে ড্রামে লুকিয়ে রাখে মামুন নামে এক ব্যক্তি। বুধবার সন্ধ্যায় খুলনা নগরীর নতুনবাজার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। দুপুরে মামুনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামুন নগরীর নতুনবাজার এলাকায় বসবাস করেন। বুধবার সন্ধ্যায় মামুন শিশুটিকে দোকানে চা এবং রুটি কিনতে পাঠান। শিশুটি দোকান থেকে চা-রুটি কিনে মামুনের বাসায় দিতে যায়। এরপর থেকে শিশুটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে চায়ের দোকানির তথ্য অনুযায়ী মামুনদের বাড়িতে খুঁজতে যায় তার মা। তখন মামুন জানান, তাদের বাড়িতে ভুক্তভোগী শিশুটি নেই। কোথায় গেছে, এ নিয়ে শিশুটির মায়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মামুন। এ সময় তার ঘর থেকে শিশুটির ‘মা’ ডাক শুনতে পান ভুক্তভোগী শিশুটির মা। পরে ঘরে খুঁজতে থাকেন ওই নারী। একপর্যায়ে চালের ড্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সুমাইয়া কাওসার শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বারের সাবেক ১১ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রতারণার মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান বাদীর বক্তব্য শুনে মামলা তিনটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, ‘ঢাকা আইনজীবী সমিতির পক্ষে বর্তমান কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মইনুল হোসেন অপু, ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লা ও জহিরুল হাসান মুকুল মামলা তিনটি করেন। তিন মামলায় মোট আসামি ১১ জন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ২৫ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন– ২০২৪-২৫ মেয়াদের সভাপতি আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম মো. আক্তার হোসেন ও ট্রেজারার ওমর ফারুক, ২০২৩-২৪ মেয়াদের সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, সহসাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রাণনাথ ও ট্রেজারার বিবি ফাতেমা মুন্নি এবং ২০২২-২৩ মেয়াদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু ও ট্রেজারার নুর হোসেন।
এক মামলায় আব্দুর রহমান হাওলাদার, আনোয়ার শাহাদাত শাওন, আবুল কালাম মো. আক্তার হোসেন ও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতির ১১ লাখ ২০ হাজার ৫১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। আরেক মামলায় মিজানুর রহমান মামুন, গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, শ্রী প্রাণনাথ ও ট্রেজারার বিবি ফাতেমা মুন্নির বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার ২৯০ টাকা অভিযোগ করা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় মো. মাহবুবুর রহমান, ফিরোজুর রহমান মন্টু ও নুর হোসেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।