মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের জন্য ৭ হাজার ৯২৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মূলত, গত বছর যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েও পারেননি, তাদের মধ্যে থেকে উল্লিখিত পরিমাণ শ্রমিককে চূড়ান্ত করেছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা। 

আসিফ নজরুল বলেছেন, গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের বন্ধুও। সেবার তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শেষ সময়ে বাংলাদেশের যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাদের তিনি মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ করে দেবেন।

তিনি বলেন, এবারের বৈঠকে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, ব্যাচভিত্তিক শ্রমিক নেওয়া হবে। প্রথম ব্যাচে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

আসিফ নজরুল আরো বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে। বর্তমান হিউম্যান রিসোর্স মিনিস্টার নিশ্চিত করেছেন, লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, বাংলাদেশের সবগুলো রিক্রুটিং এজেন্সি যেন লোক পাঠাতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে। তারা বলেছেন, এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তাছাড়া, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শ্রমিকরা যাতে মাল্টিপল ভিসা পান, সে বিষয়টিও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, যারা ইররেগুলার শ্রমিক, তাদের রেগুলার করার প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি। প্রতি উত্তরে জানানো হয়েছে, মাঝে-মধ্যেই তারা এটা করে থাকেন, তবে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা করা সম্ভব হয় না। তখন আমরা বলেছি, মালিকের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়ে থাকে। ফলে, এ বিষয়টি সমাধানেও মালয়েশিয়ান সরকার কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরই আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজ অনেক

ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভা প্রদেশের দুটি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো অনুসন্ধান অভিযান চলছে। খবর রয়টার্সের।

দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সিলাকাপ শহরে ভূমিধসে সিবেউনিং গ্রামের এক ডজন বাড়ি চাপা পড়ে। ৩ থেকে ৮ মিটার (১০ থেকে ২৫ ফুট) গভীরে লোকজন চাপা পড়ায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চ্যালেঞ্জিং ছিল।

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার স্থানীয় বিভাগের প্রধান এম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সিলাকাপ ভূমিধসে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।

নিউজ চ্যানেল কমপাসটিভির ফুটেজে দেখানো হয়েছে, সিলাকাপে মাটি খুঁড়তে খননকারীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, মধ্য জাভার বানজারনেগারা অঞ্চলে শনিবার ভূমিধসের পর দুজন নিহত এবং ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা সোমবার জানিয়েছে। এতে ৩০টিরও বেশি বাড়ি এবং খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির বর্ষা মৌসুম সেপ্টেম্বরে শুরু হয় এবং এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বর্ষা মৌসুম দেশটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যার উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে আসে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ