বিএনপিতে এখন কোনো চাঁদাবাজ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে– এটি সত্য। অন্তর্বর্তী সরকারের গত আট মাসেও দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। সরকারের লোকজনই চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, ‘আগে বিএনপির শত্রু ছিল আওয়ামী লীগ। এখন আমাদের অনেক শত্রু হয়ে গেছে। তবে এসব শত্রুকে আমরা কেয়ার করি না।’ নেতাকর্মীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন– এখন বিএনপির সুদিন। কিন্তু এখন বিএনপির সুদিন না। আমাদের দল এখনও ক্ষমতায় আসেনি; ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশেই রয়েছেন। তাই কেউ উল্টাপাল্টা করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন– তারেক রহমান দেশে আসেন না কেন? আমি তাদের বলব, তারেক রহমান অবশ্যই আসবেন। সময়মতো দেশে আসবেন। মাথায় রাখতে হবে– আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই তারেক রহমানকে ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। তিনি বিদেশে বসেই বিএনপিকে অনেক শক্তিশালী করেছেন।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক করে সুবিধাভোগীরা চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে, যার বদনাম বিএনপির ঘাড়ে আসছে। নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। কোনোভাবেই চাঁদাবাজ-দখলবাজদের অপকর্ম করতে দেওয়া যাবে না। দলের নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করলে তাদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।’

এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে মিডিয়ার কোনো স্বাধীনতা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলেও একই অবস্থা। মিডিয়া সত্য বলতে পারছে না। সারাক্ষণ শুধু সরকারের গুণগান গাইছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপি সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ব এনপ র স সরক র র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ