আট মাসে পাচার হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা: মির্জা আব্বাস
Published: 15th, May 2025 GMT
বিএনপিতে এখন কোনো চাঁদাবাজ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে– এটি সত্য। অন্তর্বর্তী সরকারের গত আট মাসেও দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। সরকারের লোকজনই চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আগে বিএনপির শত্রু ছিল আওয়ামী লীগ। এখন আমাদের অনেক শত্রু হয়ে গেছে। তবে এসব শত্রুকে আমরা কেয়ার করি না।’ নেতাকর্মীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন– এখন বিএনপির সুদিন। কিন্তু এখন বিএনপির সুদিন না। আমাদের দল এখনও ক্ষমতায় আসেনি; ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশেই রয়েছেন। তাই কেউ উল্টাপাল্টা করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন– তারেক রহমান দেশে আসেন না কেন? আমি তাদের বলব, তারেক রহমান অবশ্যই আসবেন। সময়মতো দেশে আসবেন। মাথায় রাখতে হবে– আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই তারেক রহমানকে ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। তিনি বিদেশে বসেই বিএনপিকে অনেক শক্তিশালী করেছেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক করে সুবিধাভোগীরা চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে, যার বদনাম বিএনপির ঘাড়ে আসছে। নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। কোনোভাবেই চাঁদাবাজ-দখলবাজদের অপকর্ম করতে দেওয়া যাবে না। দলের নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করলে তাদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।’
এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে মিডিয়ার কোনো স্বাধীনতা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলেও একই অবস্থা। মিডিয়া সত্য বলতে পারছে না। সারাক্ষণ শুধু সরকারের গুণগান গাইছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপি সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ব এনপ র স সরক র র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে আমরা আর চাঁদাবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না: ফয়জুল করীম
সারা দেশে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের কথা উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ি নাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেন নাই, আবু সাঈদ তাঁর বুক পেতে দেন নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে হত্যা, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে ফয়জুল করীম বলেন, ‘মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না। শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি-আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারব।’
ইসলামী আন্দোলনের নেত্রকোনা জেলার সভাপতি মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা এনামূল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, জামায়াতে ইসলামীর নেতা অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমী।