তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আজ শুক্রবার শান্তি আলোচনা শুরু করেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তিন বছরের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে এটাই প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা যায়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বসফরাসের তীরে অবস্থিত বিলাসবহুল দোলমাবাহচ প্রাসাদে রুশ ও ইউক্রেনীয় আলোচকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের অর্ধেক সদস্য সামরিক পোশাক পরে ছিলেন এবং তাঁরা একটি টেবিলে তাঁদের প্রতিপক্ষ রুশ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি বসেছিলেন, যাঁরা স্যুট পরা অবস্থায় উপস্থিত ছিলেন।

ফিদান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি। শান্তির জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে একটি নতুন সম্ভাবনার জানালা খুলতে চাওয়ার ইচ্ছা দেখে তিনি আনন্দিত। ইস্তাম্বুলের এ আলোচনা দুই দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের ভিত্তি তৈরি করুক, এটাই তাঁর চাওয়া।

ফিদান আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে দুটি পথ রয়েছে। একটি পথ শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, অন্যটি আরও ধ্বংস ও মৃত্যুর দিকে। কে কোন পথ বেছে নেবে, তা উভয় পক্ষকেই তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা চলছে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দোলমাবাহচ কার্যালয়ে। কার্যালয়ের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, ১৬ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

গতির প্রতিযোগিতায় নেমে পিকআপে ধাক্কা, প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মোটরসাইকেল নিয়ে গতির প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বারোমাইল এলাকায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই তরুণ হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া সরদারপাড়া গ্রামের মাহিন হোসেন (২০) ও মথুরাপুর গ্রামের সিয়াম হোসেন (২১)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেড়ামারা লালন শাহ সেতু থেকে অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুরা মহাসড়কে নিজেদের মধ্যে রেস করছিলেন। এ সময় মাহিন ও সিয়ামের মোটরসাইকেলটি বারোমাইল এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সিয়ামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁরও মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়ার চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত দুই তরুণের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ