ডোনাল্ড ট্রাম্প এক উপসাগরীয় রাজধানী থেকে অন্য উপসাগরীয় রাজধানীতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এ সময় তিনি কিছু আকর্ষণীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন, সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন, এমনকি ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে অগ্রগতিও ঘটিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। যখন এসব ঘটনা ঘটছে, তখন মনে হচ্ছে গাজার যুদ্ধকে মার্কিন কূটনীতির বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। একদিকে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে এ সপ্তাহে কাতারে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, অন্যদিকে এ সময়কে ইসরায়েল হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ারের ওপর একটি ধ্বংসাত্মক হত্যাচেষ্টা চালানোর উপযুক্ত বলে মনে করেছে। উপত্যকাজুড়ে তীব্র বিমান হামলা তো চলছেই। সিনওয়ারের ভাগ্যে এখনও মৃত্যু নিশ্চিত হয়নি। এসব এমন পরিস্থিতিতে ঘটছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ অঞ্চলে অবস্থান করছেন। এ থেকে ইসরায়েল সরকার যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে কতটা উদাসীন এটি স্পষ্ট হয়।

যদি যুদ্ধ সত্যিই আবার শুরু হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এ মাসের শুরুতে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে গাজা উপত্যকায় সামরিক আক্রমণ সম্প্রসারণের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর সঙ্গে ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার সতর্কতা। জোটের সবচেয়ে চরম ডানপন্থি সদস্যদের প্রচণ্ড চাপের মুখে ইসরায়েল নতুন সামরিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা কেবল ‘হামাসকে পরাজিত করার’ মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে তাদের আগ্রহ তেমন নেই। এর পরিবর্তে তাদের লক্ষ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরো অঞ্চল দখল করা।

নেতানিয়াহু নিরাপত্তা ও মিথ্যা মানবিক যুক্তি দিয়ে যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের আসল উদ্দেশ্য আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাঁর যুক্তি হলো, গাজাবাসীদের ‘সুরক্ষার লক্ষ্যে’ স্থানান্তর করা হবে। তখন ডানপন্থি মেসিয়ানবাদী দখলদার অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ অসাবধানতাবশত গুপ্ত উদ্দেশ্যটি প্রকাশ করে দিয়েছেন। স্মোট্রিচ পরামর্শ দিয়েছিলেন, আধা বছরের মধ্যে গাজাবাসীকে একটি সংকীর্ণ জমিতে সীমাবদ্ধ করা হবে, বাকি অঞ্চল ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করা হবে। ফলে তারা ‘নতুন জীবন শুরু করার জন্য অন্য জায়গার সন্ধানে নামবে’। অন্য কথায়, পরিকল্পনাটি হলো মূলত গাজাবাসীকে জোরপূর্বক ভিটেছাড়া করা। 
অতীতে যখন এই রাজনৈতিক শক্তিগুলো ইসরায়েলি সমাজ ও রাজনীতিতে প্রান্তিক পর্যায়ে ছিল, তখন যুদ্ধাপরাধতুল্য এ ধরনের আহ্বানকে নিছক অতিডানপন্থি বুলি বলে উড়িয়ে দেওয়া  হতো। এই ঘৃণ্য ধারণার প্রতিনিধিত্বকারীরা এখন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত, তাই সেই অবস্থান আর জারি থাকে না। আরও খারাপ বিষয় হলো, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতা নিশ্চিত রাখতে তাদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। এ কারণে তিনি তাঁর দুর্নীতির বিচার পণ্ড করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ারও সক্ষমতা রাখেন। বিশেষ করে যখন এটি অত্যন্ত অপ্রীতিকর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে তাকে প্রসিকিউশন কর্তৃক জেরা করা হবে।

নেতানিয়াহু অতি ডানপন্থিদের তারা যা চায় তাই দিচ্ছেন। কারণ তিনি নতুন সাধারণ নির্বাচন মোকাবিলার সামর্থ্য রাখেন না, যদিও বেশির ভাগ ইসরায়েলিই নতুন নির্বাচন চায়। ৭ অক্টোবর হামাসের হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে বিশাল ব্যর্থতার তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের কোনো সম্ভাবনা নেই। 

যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নেতানিয়াহুর মরিয়া চেষ্টার মূল্য প্রথমেই দিতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। এর মূল্য তার নিজের জনগণও দিচ্ছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এ ছাড়া সাহায্য সংস্থাগুলো ক্রমাগত অনাহার, চিকিৎসা সহায়তার অভাব, বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে বোমা হামলা এবং পরিষ্কার পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগ কমে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে আসছে। ইসরায়েলি সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট এই সপ্তাহের পরিস্থিতি ‘সম্পূর্ণ অসহনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও ক্ষমার অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হলো ইসরায়েল যেন এই নতুন যুদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে না পারে তা নিশ্চিত করা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইতোমধ্যে হাজার হাজার সৈন্য বিধ্বস্ত গাজায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছে, এই পরিস্থিতিতে গাজার অধিবাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি রোধে তাদের প্রভাব ব্যবহার না করে এবং ট্রাম্প তাঁর শক্তি প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত নেন, যেমনটি তিনি শপথ গ্রহণের প্রাক্কালে করেছিলেন, তাহলে তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের আরও রক্তপাত, বাস্তুচ্যুতি ও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাবে। সম্ভবত তা আগের চেয়েও খারাপ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়বে।

ইয়োসি মেকেলবার্গ: চ্যাথাম হাউসে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির সহযোগী ফেলো; দ্য গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড নপন থ মন ত র র জন য ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

নিভৃতচারী কৃষকের আর্তনাদ কি আমরা শুনছি

কৃষি এবং কৃষকই এ দেশের প্রাণ—এই ধ্রুব সত্যটি নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু বেদনাদায়ক বাস্তবতা হলো, মধ্যস্বত্বভোগী ও কপট ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষকের স্বার্থ বরাবরই উপেক্ষিত। নীতিনির্ধারক ও মূলধারার রাজনীতিবিদদের নীরবতা এবং কৃষকের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি জনগুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যকে ‘ট্রল’ করার মতো দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা আমাদের জাতীয় সংবেদনশীলতার অভাবকেই প্রকটভাবে তুলে ধরে।

করোনাকালীন ভয়াবহ সংকটে কৃষি যেভাবে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে রক্ষা করেছে, তা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। অথচ এত কমিশন গঠিত হলেও, কৃষি কমিশন গঠন করা হয়নি। এর মূল কারণ সম্ভবত নিভৃতে কাজ করে যাওয়া কৃষক বা কৃষিশ্রমিকের মূল্য এই সমাজে অনেক সস্তা।

বর্তমানে কৃষি খাত নিয়ে যত আলোচনা—তা সবই যেন নিরাপদ কৃষি, বাণিজ্যিক কৃষি, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, ভ্যালু চেইন ও উৎপাদন বৃদ্ধিকেন্দ্রিক। প্রধান স্টেকহোল্ডার কৃষক ও তাঁর জীবন-জীবিকার স্বার্থ প্রায়শই থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। অন্যান্য পেশাজীবীর মতো কৃষকের কোনো সক্রিয় সংগঠন নেই। চাষাবাদ ফেলে ঢাকা শহরে দাবি আদায়ের আন্দোলনে নামাও তাঁদের পক্ষে অসম্ভব, কারণ তাতে তাঁদের পেটে ভাত জুটবে না।

অথচ কৃষকেরা শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, শারীরিকভাবেও চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষ রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পেশায় কৃষক! মাস্ক, গ্লাভস বা রাবারের জুতা চোখে না দেখা, ছেঁড়া গামছা মুখে পেঁচিয়ে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করা ভূমিহীন মানুষটা আমাদের কাছে হয়তো ‘কৃষিশ্রমিক’, ‘কৃষক’ নন; কিন্তু খাদ্য উৎপাদনচক্রে তাঁর অবদান সবচেয়ে মৌলিক এবং তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি।

সমাজের চোখে ‘কৃষক’ বলতে যখন বিঘার পর বিঘা জমির মালিক, শিক্ষিত বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের বোঝানো হচ্ছে, তখন প্রান্তিক, নিরক্ষর মানুষগুলোর অস্তিত্ব ও সংগ্রাম প্রায় অস্বীকৃত থেকে যাচ্ছে।

আবার কৃষক ও কৃষির সমস্যা শুধু অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত নয়, এর শিকড় প্রোথিত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বাণিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমাদের শিক্ষায় কৃষির নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিকগুলো প্রায় উপেক্ষিত।

কৃষকের নিবিড় জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রায়শই অন্ধকারে থাকছে। গান গাইতে গাইতে ধান কাটা, ধান লাগানো বা নবান্ন উৎসব—এসব প্রথা ও রীতিনীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, কৃষকের জীবনের আনন্দ, দুঃখ ও শ্রমের প্রকাশ। পাঠ্যক্রমে এসবের অনুপস্থিতি কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে নাগরিকসচেতনতা বৃদ্ধির পথে এক বড় বাধা।

আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃষির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা বা গবেষণা নেই। কীভাবে নারীর হাত দিয়ে কৃষির সূচনা হয়েছিল—ফসলের বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বপন ও পরিচর্যার প্রথম ধাপগুলোয় নারীর যে ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল, সেই গুরুত্বপূর্ণ নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক দিকগুলো পড়ানো হয় না বললেই চলে।

বাংলার কৃষিকাজে লোকায়ত জ্ঞানের অন্যতম ধারক খনার বচন প্রাসঙ্গিক হলেও আবহাওয়া, ফসল রোপণের সময়, মাটির গুণাগুণ–সম্পর্কিত হাজার বছরের পরীক্ষিত প্রথাগত প্রজ্ঞা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে স্থান পায় না। এর বদলে শুধু স্থান পায় আধুনিক প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের তত্ত্ব।

ধান লাগানো থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ, বীজ সংরক্ষণ, ফসল মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের মতো অনেক ধাপে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ বাংলাদেশের কৃষিতে অপরিহার্য অনুষঙ্গ। বিভিন্ন গবেষণায় এই সত্য বারবার প্রমাণিত হয়েছে। অথচ এই বিশাল শ্রমশক্তি ও তাঁদের সমস্যা নিয়ে মূলধারার একাডেমিক আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যদিও সস্তা শ্রম আর অধিকার বঞ্চনার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কৃষিতে নারীর উপস্থিতি বাড়ছে।

কৃষকের নিবিড় জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রায়শই অন্ধকারে থাকছে। গান গাইতে গাইতে ধান কাটা, ধান লাগানো বা নবান্ন উৎসব—এসব প্রথা ও রীতিনীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, কৃষকের জীবনের আনন্দ, দুঃখ ও শ্রমের প্রকাশ। পাঠ্যক্রমে এসবের অনুপস্থিতি কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে নাগরিকসচেতনতা বৃদ্ধির পথে এক বড় বাধা।

কৃষির এই বহুমুখী সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু যান্ত্রিকীকরণ আর উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিলেই চলবে না। প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী নীতিগত পরিবর্তন।

যা করা যেতে পারে:

ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ: সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ফসল কেনার সরকারি উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত ও মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমাতে শক্তিশালী ‘ভ্যালু চেইন’ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ: প্রান্তিক কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের জন্য বিনা মূল্যে মানসম্পন্ন কীটনাশকপ্রতিরোধী মাস্ক, গ্লাভস এবং সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করা।

শিক্ষায় কৃষির সাংস্কৃতিক পাঠ অন্তর্ভুক্তিকরণ: উচ্চশিক্ষা ও স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে কৃষির উৎপত্তি, নৃতত্ত্ব, নারীর ভূমিকা, লোকায়ত জ্ঞান (যেমন খনার বচন) এবং কৃষকের জীবন ও সংস্কৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কৃষিশ্রমিকের স্বীকৃতি: নারীর কৃষিভিত্তিক শ্রমের স্বীকৃতি প্রদান করা। কৃষিশ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী ও স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় আলাদা বরাদ্দ রাখা।

সর্বোপরি নীতিগত সদিচ্ছা এবং কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিই পারে আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার মূল ভিত্তি—নিভৃতচারী কৃষককে তাঁর প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে। কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে প্রত্যেক নাগরিকের সচেতনতা বৃদ্ধি এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

মো. জুবায়ের ইবনে কামাল অফিসার, জনতা ব্যাংক পিএলসি। প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ