দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভায় তি‌নি এ আহ্বান জানান।

ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আরো পড়ুন:

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত

বৃষ্টি মাথায় কাকরাইলে তিন কারাখানার শ্রমিকদের অবস্থান

বৈঠকে ডা.

শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানান।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে হাট কাঁপাবে জিল্লু-ডন-সুলতান

শাহিওয়াল জাতের ২০ মণ ওজনের ষাঁড়ের নাম জিল্লু। এক বছর ধরে গরুটি লালন-পালন করছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামের খামারি তারেকুল ইসলাম সুজন। এবারের কোরবানির পশুর হাটের জন্য গরুটি প্রস্তুত করেছেন তিনি। শুধু জিল্লু নয়, ডন ও সুলতান নামে ১৫ থেকে ১৬ মণ ওজনের আরও দুটি ষাঁড় ঈদের বাজারের জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। 

একই গ্রামের শামীম মিয়া তাঁর খামারে লালন-পালন করেছেন শাহিওয়াল জাতের কালো রাজা ও লাল রাজাবাবু নামে দুটি গরু। তাঁর খামারে ৪ গরু থাকলেও ওই দুটি গরুই সবচেয়ে বড়। দুটির ওজন ৯ থেকে ১০ মণ। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলার ভবানীপুর এলাকার রফিক ডেইরি ফার্মে বাহাদুর ও রবিন নামে দুটি ষাঁড় রয়েছে। ফিজিয়ান ও শাহিওয়াল জাতের ওই দুটি ষাঁড়ের ওজন ১০ থেকে ১২ মণ। কোরবানির বাজারে ষাঁড় দুটি তোলার প্রস্তুতি নিয়েছেন খামারি রফিক মিয়া; যার দাম হাঁকা হয়েছে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। 

শায়েস্তাগঞ্জের নিশাপট গ্রামের খামারি তারেকুল ইসলাম সুজন বলেন, তাঁর খামারে থাকা এবারের সবচেয়ে বড় গরু জিল্লু। তাঁর খামারে ডন, সুলতানসহ বিভিন্ন জাতের আরও ৫টি গরু রয়েছে। এবারের পশুর হাটে সবক’টি বিক্রি করবেন তিনি। বাজারে দর ভালো থাকলে এসব ষাঁড় ৪-৫ লাখ টাকা করে বিক্রি করা যাবে। 

একই গ্রামের খামারি শামিম মিয়া বলেন, এবারের কোরবানির পশুর হাটে তিনি ৪টি ষাঁড় বিক্রির জন্য তুলবেন। এসব ষাঁড়ের মধ্যে কালো রাজা ও লাল রাজাবাবু সবচেয়ে বড়। যদি বাজারে ভারতীয় গরু না আসে তাহলে প্রতিটি ষাঁড় ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। 

বানিয়াচং উপজেলার ভবানীপুরের খামারি রফিক বলেন, তাঁর খামারের গরুগুলোকে দেশি খাবার দেওয়ার কারণে এর চাহিদা অন্য গরুর চেয়ে বেশি থাকে। যে কারণে ক্রেতারা সরাসরি খামারে এসে পছন্দের গরু কিনে নিয়ে যান। ঈদের বাজারে স্থানীয় খামারিরা যেন ভালো দাম পান সেজন্য ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। 

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার ২৯৯টি ছোট-বড় গরুর খামার রয়েছে। এ বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ৫৮৩টি। মজুত রয়েছে ৭১ হাজার ৭৪৬টি গরু; যা খামার ও বাড়িতে কৃষকরা কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এতে এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর সংকট থাকবে না। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের বলেন, এ বছর জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে করে বাইরে থেকে গরু আসার প্রয়োজন নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ