রাজধানীতে বসছে ১৯টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট
Published: 31st, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে বসছে মোট ১৯টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ৯টি হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু হাটের দরপত্র আহ্বান করা হলেও আইনি জটিলতা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থার কারণে সেগুলো অনিশ্চিত।
ঢাকা দক্ষিণে ৯ হাট চূড়ান্ত, আন্দোলনের কারণে ঝুলে আছে কার্যাদেশ
ডিএসসিসি এলাকায় শুরুতে ১১টি অস্থায়ী হাট বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও আইনি জটিলতা ও রাজনৈতিক কারণে আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাট স্থগিত করা হয়েছে। নয়টি হাট চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হাটে সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেলেও আন্দোলনের কারণে কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা দক্ষিণের ৯ হাট হলো:
১.
২. পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পশ্চিম পাশের নদীপাড়
৩. রহমতগঞ্জ ক্লাব-সংলগ্ন খালি জায়গা।
৪. হাজারীবাগ ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজির পূর্ব পাশ।
৫. আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পাশ।
৬.. সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পাশ।
৭. কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার-সংলগ্ন খালি জায়গা।
৮. শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড-সংলগ্ন খালি জায়গা।
৯. মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশের খালপাড়।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লার হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু
অভয়নগরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত সেরা ফ্রিজিয়ান ষাড় ‘ঠাণ্ডা ভোলা’
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা হাসিবা খান জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ দর পাওয়া হাটগুলোতে কার্যাদেশ দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু, আন্দোলনে নগর ভবন তালাবদ্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। অন্য চারটি হাটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে পাঁচটি হাটের ইজারা সম্পন্ন করেছি। বাকি চারটি ঈদের আগেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
ঢাকা উত্তরে প্রস্তুত ১০ হাট
ডিএনসিসি এলাকায় ১০টি হাটের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। হাটগুলোর মধ্যে অধিকাংশের ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। কয়েকটি হাটে এখনো আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া চলমান।
ডিএনসিসির হাটগুলো হলো:
১. ভাটারা সুতিভোলা খাল-সংলগ্ন খালি জায়গা।
২. উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর-সংলগ্ন বউবাজার এলাকা।
৩. বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর।
৪. মিরপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্টার্ন হাউজিং।
৫. মোহাম্মদপুর বছিলা ৪০ ফুট রাস্তার পাশে।
৬. ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন খালি জায়গা।
৭. খিলক্ষেত থানাধীন মস্তুল চেকপোস্ট-সংলগ্ন মাঠ।
৮ ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইসগেট পর্যন্ত খালি জায়গা।
৯. মিরপুর কালশী বালুর মাঠ।
১০. কাঁচকুড়া বাজার-সংলগ্ন খালি জায়গা।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, নগরবাসীর চাহিদা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখেই আমরা ১০টি হাট নির্ধারণ করেছি। দ্রুতই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
স্থায়ী হাট
অস্থায়ী হাট ছাড়াও ডিএনসিসির গাবতলী ও ডিএসসিসির সারুলিয়া হাটে পশু বিক্রি হবে। এসব হাটে অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে শেড নির্মাণ ও অন্যান্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনি জটিলতার মধ্যেও ঢাকায় এবার মোট ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হচ্ছে। উত্তরের হাটগুলো বেশিরভাগ প্রস্তুত থাকলেও দক্ষিণে আন্দোলনের কারণে কিছু হাটের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট ড এসস স র প রস ত ত ড এনস স এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫