১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি, কমিটমেন্ট দিলেন প্রশাসক
Published: 5th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, ‘কোরবানির দিন বিকেল থেকে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের কমিটমেন্ট, ১২ ঘণ্টার ভেতরে আমরা এ ময়লা পরিষ্কার করব।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ডিএসসিসির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
শাহজাহান মিয়া আরও বলেন, ‘বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রস্তুত রেখেছি। সিটি করপোরেশনের গাড়িও আমরা রেখেছি। একই সঙ্গে সরকারের অন্যান্য সংস্থায়ও চাহিদা দিয়ে রেখেছি। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তাদের কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে আসব।’
মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে কোরবানি দিতে পারে ও উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে, এ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ দেওয়ার জন্য একটি হটলাইন ও কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে বলেও জানান প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, বর্জ্য নিয়ে যেকোনো অভিযোগ দিলেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হবেন। বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য নেওয়া প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন৬০০ কর্মী নিয়ে ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান১৯ এপ্রিল ২০২৫নগর ভবনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের অবরোধের বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি উত্তর দিতে চাই না। এটা রাজনৈতিক বিষয়। সেনসিটিভ ইস্যু। এই আইনগত বিষয়গুলোয় আমি কথা বলতে চাই না।’
তবে এ বিষয়ে শাহজাহান মিয়া আরও বলেন, ‘নগর ভবন বন্ধ থাকলেও আমাদের তিনটি দপ্তর সেখানে কাজ করতে পারছে। সেগুলো হলো—বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভান্ডার বিভাগ, পরিবহন বিভাগ।’
শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ড অফিসগুলো খোলা আছে। জনগণ সেখান থেকে সেবা নিচ্ছেন। জনগণের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা যেকোনোভাবে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুনআইনি লড়াই কেন মাঠে গড়াতে দেওয়া হলো১৭ মে ২০২৫আরও পড়ুনএডিস মশা প্রতিরোধে সন্ধ্যায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখার আহ্বান ডিএসসিসি প্রশাসকের০৫ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এসস স ক রব ন বর জ য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: মিন্টু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, “নির্বাচনে ফেনীর ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে কোনো চিন্তা নেই।”
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই যে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে, দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তার আগেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে একটি মামলা চলমান আছে। যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রবর্তন হয়, তাহলে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেয়ারটেকার হবে না। কেয়ারটেকার সরকারে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলা আছে।”
আরো পড়ুন:
প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে আমরা কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে ভালো কাজ করবে না, উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “বিগত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি। কেউ যদি বলে, আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি, বিষয়টি সঠিক নয়। বরং, ২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে, তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না। তাই, আমরা চাচ্ছি নির্বাচন হোক।”
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা আরো বলেন, “আমরা বলে আসছি, ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সেটি অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি। ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নেই। দুই যুগ ধরে যদি নির্বাচিত সরকার না থাকে, তাহলে মানুষের অর্থনৈতিক বা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে না। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে একটি সরকার, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।”
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/রফিক