রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ির বাসিন্দা মনির হোসেন ১৫ বছর ধরে কারওয়ান বাজারে একটি লোহালক্কড়ের দোকানে কাজ করেন। মাসে আয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সাত হাজার টাকা যায় এক রুমের একটি বাসা ভাড়া বাবদ। বাকি টাকায় চারজনের সংসার চালান। টানাটানির মধ্যেও সুযোগ পেলে কালেভদ্রে আশেপাশে ঘুরতে বের হন। আজ মঙ্গলবার সকালেও শহর ফাঁকা দেখে তা-ই করলেন। স্ত্রী আর তিন বছরের ছেলে ও চার বছরের মেয়েকে নিয়ে বের হন। একটু ঘুরেফিরে বাসায় ফেরার পথে সবজি, মাছ ও আদা-রসুন কিনতে কারওয়ান বাজারে ঢোকেন।

মনির হোসেন প্রথম অলোকে বলেন, ‘বাজার এখনো আগের মতো জমে ওঠেনি। এই সময়ে সব ধরনের পণ্যের দাম কিছুটা কম থাকে। তাই বাসায় যাওয়ার আগে বাজারে এসেছি কিছু কেনা যায় কি না, তা দেখার জন্য। দাম কিছুটা কম থাকায় এক কেজি মাছ আর কিছু শাকসবজি কিনলাম।’

কোরবানির ঈদের তিন দিন পর আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে গিয়ে মনির হোসেনের মতো হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতাকে দেখা গেল। অর্থাৎ কারওয়ান বাজার এখনো জমেনি। ফলে চিরচেনা সেই ভিড়ভাট্টাও নেই। অল্প যে কয়েকজন ক্রেতা এসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির। আলাপকালে তাঁদের বেশির ভাগই জানান, এ রকম সময়ে বাজারে পণ্যের দাম কিছুটা কম থাকে। সে জন্যই তাঁরা বাজারে এসেছেন। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্তদের কেউ কেউ বললেন, বাসায় ফ্রিজ নেই বলে প্রতিদিনই বাজারে আসতে হয়।

বাজারে ক্রেতা যেমন কম, তেমনি শাকসবজি ও মাছ-মাংসের সরবরাহও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম। ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদের পর ক্রেতা কম, তাই সরবরাহও কম। দামও এখন কমতি। পটোল, বেগুন, করলা, ঢ্যাঁড়স, বরবটিসহ বেশির ভাগ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মাহবুব আলম বলেন, এই সময়ে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেশি থাকে। কোরবানির ঈদের তিন দিন হয়ে গেছে। এখন বাজারে ধীরে ধীরে শাকসবজির চাহিদা ও সরবরাহ—দুটোই বাড়বে।

রাজধানীর আরও তিন-চারটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ রয়েছে। সব জায়গাতেই ক্রেতার সমাগম খুবই নগণ্য। শুধু সবজি আর মাছ-মুরগির কিছু দোকান খোলা। ঈদের আগে আগে শসা, টমেটো, গাজর প্রভৃতি পণ্যের দাম বাড়লেও এখন তা কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগের রাত পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হয়েছে। এরপর বেচাবিক্রি কমেছে। প্রতিবছরই ঈদের সময় এ রকম হয়। সে জন্য অনেক বিক্রেতা এখন ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ঈদের ছুটির কারণে অনেক মানুষ এখনো ঢাকায় ফেরেননি। তাই বাজার এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। দোকানপাট আস্তে আস্তে খুলছে। তাতে বাজারে সবজির সরবরাহ খানিক বাড়ছে। যদিও বেশির ভাগ দোকানে আগের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কাল বুধবার থেকে সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সব বাজারে সবজির মতো মাছ ও মুরগির দু-চারটি দোকান খোলা। মাংসের দোকান বলতে গেলে এখনো বন্ধ রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের কামারপট্টি এলাকার রাস্তার ওপর কয়েক পদের মাছ নিয়ে বসেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের এই সময়ে মাছের চাহিদা কম থাকে। তবে আমাদের এই বাজারে সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় থাকে। কারণ, তাঁরা কোরবানি দেন না। সকাল থেকে যদি আমার দোকানে ১০০ জন মানুষ এসে থাকেন, তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নিম্নবিত্ত। যেখানে কিচেন মার্কেটে ৪০০ টাকা কেজিতে পাবদা মাছ বিক্রি করে, সেখানে আমরা পাবদা মাছ ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করি।’

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা জিকো রোজারিও বলেন, ‘মূল বাজারের চেয়ে এখানে মাছের দাম তুলনামূলক কম। তাই জীবন্ত এক কেজি শিং মাছ কিনেছি ৩০০ টাকা দিয়ে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র সরবর হ শ কসবজ কম থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

বালু নিয়ে দ্বন্দ্ব, বাঁধের কাজ বন্ধ

চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের ৫০৪ কোটি টাকার নির্মাণকাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার’ কারণে ছয়টি কাজের মধ্যে তিনটি শুরু হয়নি। দুটি অংশে কাজ শুরু করলেও বালু, সিমেন্টসহ মালামাল সরবরাহ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বাধা পেয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বালু, সিমেন্টসহ নির্মাণ উপকরণ সরবরাহ নিয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের কয়েকটি পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। এর জেরে শ্রমিকদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ নামে এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৮৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। আনোয়ারা অংশে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হলেও বাধা এসেছে বাঁশখালী অংশে।

বাঁশখালী উপজেলায় চারটি এলাকায় নির্মাণকাজের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০৪ কোটি টাকা। চারটি এলাকাকে (সাধনপুর, খানখানাবাদ, বাহারছড়া ও ছনুয়া) ছয়টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একক ও যৌথভাবে ছয়টি কাজ পেয়েছে। বাঁশখালী অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৪১ কিলোমিটার বাঁধ ও ঢালু এবং ১ দশমিক ১ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ।

গত মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৫ থেকে ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজের অগ্রগতি ৩ শতাংশের কম। 

পাউবোর প্রকল্পের নথিপত্রেও নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক সমস্যাকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নথিপত্র অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্য পরিবহনে সমস্যা, বালু উত্তোলনে বাধা ও লবণ চাষের কারণে ব্লক তৈরির মাঠ না পাওয়া।

বালু সরবরাহে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব

বাঁশখালী অংশের ছয়টি কাজের দুটি পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (পিডিএল)। এগুলোর মধ্যে উপজেলার খানখানাবাদের ১ হাজার ৩০০ মিটার বাঁধ ও ঢাল সংরক্ষণের কাজ করছে যৌথভাবে ওয়েস্টার্ন-পিডিএল (প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড)। ছনুয়ার ২ হাজার ৮০০ মিটারের কাজ করছে পিডিএল-আরএফএল।

পাউবো ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, দুটি অংশেই বাঁধের নির্মাণকাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিডিএল। ছনুয়ায় ব্লক নির্মাণের জন্য চট্টগ্রামের বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হয়েছিল।

কিন্তু রাতের আঁধারে তাঁদের মারধর করা হয়। খানখানাবাদের জন্য আনা শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সব শ্রমিক চলে গেছেন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

নির্মাণকাজে বড় বাধা এসেছে বালু সরবরাহ নিয়ে। এ নিয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এর জের ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, বালু সরবরাহ নিয়ে স্থানীয় মেসার্স থ্রি পয়েন্টের সঙ্গে তালুকদার ট্রেডিংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। থ্রি পয়েন্টের অংশীদারেরা হলেন চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ ও চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম।

অভিযোগ রয়েছে তাঁদের পেছনে আছেন খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সিকদার। জানতে চাইলে থ্রি পয়েন্টের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

অপর পক্ষে তালুকদার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ কাইদুল ওয়াদুদ।

থ্রি পয়েন্টের অংশীদার সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, বালু সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী বালু সরবরাহ করছেন। কিন্তু কাইদুল ওয়াদুদ, আশরাফ ও শাহেদ নামের কয়েকজন ছেলে কার্যাদেশ না পাওয়ার পরও বালু নিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজি হয়নি। এরপরও তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে বালু খালাস করতে চাওয়ায় অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে।

তালুকদার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ কাইদুল ওয়াদুদ বালু সরবরাহে কার্যাদেশ পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক মাস ধরে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বালু নিচ্ছিল, যা লবণপানি দিয়ে খালাস করা হচ্ছিল।

মানহীন পণ্য ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল। তিনি প্রথম আলোকে লিখিতভাবে জানান, বাঁধ নির্মাণের বালু, পাথর, রড, সিমেন্টসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় মালামাল খালাস করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কিছু সরবরাহকারী বালু ও ইট সরবরাহের কাজ নিলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করে। মান উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও তা গ্রহণ করতে চাপ দিতে থাকে। এরপর বাইরের সরবরাহকারীদের কাজ দিলে স্থানীয় পক্ষটি আবার পণ্য খালাসে বাধা দিতে থাকে। স্থানীয় কয়েকটি পক্ষের অন্তঃকোন্দলের কারণে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান না হলে  প্রকল্পটি সময়মতো সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হবে।

সরেজমিনে খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদম রসুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বালুর বিশাল স্তূপ রাখা আছে এবং ব্লক তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে খানখানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব লোকমান হাকিম বলেন, বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রাণের দাবি স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।

পাউবো সূত্র জানায়, বাঁশখালীর ছয়টি কাজের মধ্যে বর্তমানে সাধনপুর অংশে কাজ চলমান রয়েছে। বাকি পাঁচটিতে কাজ হচ্ছে না।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাঁশখালী অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণে নিয়ে নানা ধরনের বাধা আসছে। স্থানীয় কয়েকটি পক্ষ বালু, সিমেন্ট, শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। হুমকি দিচ্ছে। এসব কারণে কাজই শুরু করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে নির্মাণকাজের সময় পিছিয়ে যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস কেনায় যুক্তরাষ্ট্রের ছাড়পত্র পেল হাঙ্গেরি
  • পেঁয়াজের দাম প্রতিবছর বাড়ে কেন?
  • হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, কারণ কী
  • ইলন মাস্ক মঞ্চে নাচলেন, সঙ্গী হলো রোবট
  • নতুন শিক্ষাবর্ষে তিন শ্রেণির বই ছাপাই শুরু হয়নি
  • মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
  • পেঁয়াজের দামবৃদ্ধিতে কার পকেট ভারী?
  • ধামরাইয়ের বাজারে বাড়ছে সবজির সরবরাহ, দাম অপরিবর্তিত 
  • বালু নিয়ে দ্বন্দ্ব, বাঁধের কাজ বন্ধ