দেশের বিমা খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি প্রগতি ইনস্যুরেন্সের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম আজ বৃহস্পতিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গত বছরের জন্য ঘোষিত মোট ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। এই লভ্যাংশের মধ্যে ছিল ২০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস। এজিএমে অনুমোদনের পর এখন এই লভ্যাংশ শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত এজিএমে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইন। সভায় অংশ নেন কোম্পানির পরিচালক খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল.

মো. সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুল মালেক, নাসির লতিফ, মো. মুসফিকুর রহমান, নিগার জাহান চৌধুরী, নাহরীন ইয়াহিয়া, সৈয়ত মোহাম্মদ জান, তাজওয়ার এম আউয়াল, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, হাসিনাতুন নাহার ও মাহাবুব আনাম; কোম্পানির উপদেষ্টা মো. রেজাউল করিম, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সেহাব উল্লাহ আল মনজুর, কোম্পানির কর্মকর্তা মেজর (অব.) সাদাত মো. মুসা, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অমর কৃষ্ণ শীল, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ জাফর আলীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারধারী।

কোম্পানির পরিচালক ও শেয়ারধারীরা সভায় উত্থাপিত আলোচ্যসূচিতে মতামত দেন, ই–ভোটে অংশ নিয়ে এসব আলোচ্যসূচি অনুমোদন করেন। সভায় জানানো হয়, গত বছর শেষে প্রগতি ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম বাবদ আয় করেছে ২৫০ কোটি টাকা। আর কর পরবর্তী মুনাফা করে ৫৫ কোটি টাকা। গত বছর বিমা কেম্পানিটি ৫২ কোটি টাকা বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। আর বছর শেষে সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকায়। কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইন বলেন, গত বছরের জন্য প্রগতি ইনস্যুরেন্স শেয়ারধারীদের জন্য মোট ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি কোম্পানির সাফল্য। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে বিমা গ্রাহকের বড় অবদান, পরিচালনা পর্ষদের সঠিক দিকনির্দেশনা, কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মনিষ্ঠা। সভায় কোম্পানি সচিব ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেয়ারধারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৭০ পয়সা বা দেড় শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকায়। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি বর্তমানে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারের ৪২ শতাংশই রয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর বাকি ২০ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কয়েক বছর ধরেই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের জন্যও এটি শেয়ারধারীদের ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ২০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস। আর ২০২২ সাল লভ্যাংশ দিয়েছিল ৩০ শতাংশ। যার মধ্যে ছিল ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস।

ডিএসইতে প্রকাশিত কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি প্রায় ৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আর মার্চ শেষে কোম্পানিটির প্রকৃত সম্পদ মূল্য ছিল ৪৬৮ কোটি টাকা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস য র ন স কর মকর ত ম হ ম মদ গত বছর র জন য প রগত

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসনে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের নেতৃত্বে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

এ কমিটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরিতে কাজ করবে। পাশাপাশি টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের গত ১৫ বছরের নীতিমালা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের নীতি প্রণয়নে কাজ করবে।

শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

গত মার্চে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। এ কমিশনের প্রধান ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।

প্রতিবেদনে বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। এ প্রতিষ্ঠানের নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা বা জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা’। এ প্রতিষ্ঠানের বার্তা বিভাগ হিসেবে বাসসকে একীভূত করতে বলেছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিভাগ থাকবে। এগুলো হলো টেলিভিশন, বেতার ও বার্তা বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ