প্রগতি ইনস্যুরেন্সের এজিএম অনুষ্ঠিত, ২৭% লভ্যাংশ অনুমোদন
Published: 19th, June 2025 GMT
দেশের বিমা খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি প্রগতি ইনস্যুরেন্সের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম আজ বৃহস্পতিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গত বছরের জন্য ঘোষিত মোট ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। এই লভ্যাংশের মধ্যে ছিল ২০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস। এজিএমে অনুমোদনের পর এখন এই লভ্যাংশ শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এজিএমে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইন। সভায় অংশ নেন কোম্পানির পরিচালক খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল.
কোম্পানির পরিচালক ও শেয়ারধারীরা সভায় উত্থাপিত আলোচ্যসূচিতে মতামত দেন, ই–ভোটে অংশ নিয়ে এসব আলোচ্যসূচি অনুমোদন করেন। সভায় জানানো হয়, গত বছর শেষে প্রগতি ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম বাবদ আয় করেছে ২৫০ কোটি টাকা। আর কর পরবর্তী মুনাফা করে ৫৫ কোটি টাকা। গত বছর বিমা কেম্পানিটি ৫২ কোটি টাকা বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। আর বছর শেষে সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকায়। কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইন বলেন, গত বছরের জন্য প্রগতি ইনস্যুরেন্স শেয়ারধারীদের জন্য মোট ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি কোম্পানির সাফল্য। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে বিমা গ্রাহকের বড় অবদান, পরিচালনা পর্ষদের সঠিক দিকনির্দেশনা, কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মনিষ্ঠা। সভায় কোম্পানি সচিব ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেয়ারধারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৭০ পয়সা বা দেড় শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকায়। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি বর্তমানে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারের ৪২ শতাংশই রয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর বাকি ২০ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কয়েক বছর ধরেই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের জন্যও এটি শেয়ারধারীদের ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ২০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস। আর ২০২২ সাল লভ্যাংশ দিয়েছিল ৩০ শতাংশ। যার মধ্যে ছিল ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস।
ডিএসইতে প্রকাশিত কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি প্রায় ৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আর মার্চ শেষে কোম্পানিটির প্রকৃত সম্পদ মূল্য ছিল ৪৬৮ কোটি টাকা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনস য র ন স কর মকর ত ম হ ম মদ গত বছর র জন য প রগত
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনী সীমান্তে ৬ চোরাকারবারি আটক
ফেনীর ফুলগাজীতে ভারতীয় মদসহ ছয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবদুল করিম (৩০), একই গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. মমিন (২১), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. রোমান (২১), রফিকের ছেলে ইমন (২২), আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও ফুলগাজী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছবির আহাম্মদের ছেলে রবিউল হক (২৫)।
আরো পড়ুন:
পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
ঢাকার পিলখানায় শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন
বিজিবি সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভারতীয় তিন বোতল মদসহ ছয় মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ফুলগাজী থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, মাদকের অবৈধ পাচার ও চোরাচালান রোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ