নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার হতে হবে: রাশেদ প্রধান
Published: 20th, June 2025 GMT
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সংস্কার হতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। দল হিসেবে সন্ত্রাসী অপরাজনৈতিক অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। রুখে দিতে হবে ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদকে।
শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা জাগপা আয়োজিত ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগ এবং ভারত থেকে পূর্বনির্ধারিত ছিল। তাই বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে মুখিয়ে আছেন। এ কারণে উৎসবমুখর নির্বাচন প্রয়োজন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রয়োজন। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত হবে বলে আশা তার।
শেখ হাসিনার পতনের পরও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী–বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, ‘ভারতের ক্রমাগত পুশইন আমাদের জন্য আশঙ্কাজনক। দিল্লির সেবাদাস শেখ হাসিনা গদি হারিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে না পেরে হিন্দুস্তান পুশইনের আশ্রয় নিয়েছে।’
জাগপা নেতা বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পুশইনের মাধ্যমে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ভারতীয় সন্ত্রাসীদের বিএসএফ প্রবেশ করাচ্ছে।
জেলা জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, সিনিয়র সহসভাপতি মফিদার রহমান, সহসভাপতি শামসুজ্জামান নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন পাটোয়ারী, জেলা যুব জাগপার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কুয়েত, জেলা জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তানাক্কাপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করানো হয়। বর্তমানে তারা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে একটি স্কুলে অবস্থান করছে। প্রাথমিকভাবে তাদের মধ্যে ১২ জন নড়াইল ও একজন যশোরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওসমান আলী জানান, পুশইন করা ব্যক্তিরা ভারতের মহারাষ্ট্রের ইটভাটা এবং রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। তাদের অনেকেই ১৫-২০ বছর আগে ভারতে যান।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৫ জনকে পুশইন করেছে ভারত। নতুন পুশইন হওয়া ১৩ জন ছাড়া বাকি সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের অধিকাংশ কুড়িগ্রাম, নড়াইল জেলার বাসিন্দা। কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে তারা ভারতে পাড়ি জমান।