জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সংস্কার হতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। দল হিসেবে সন্ত্রাসী অপরাজনৈতিক অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। রুখে দিতে হবে ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদকে।

শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা জাগপা আয়োজিত ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগ এবং ভারত থেকে পূর্বনির্ধারিত ছিল। তাই বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে মুখিয়ে আছেন। এ কারণে উৎসবমুখর নির্বাচন প্রয়োজন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রয়োজন। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত হবে বলে আশা তার।

শেখ হাসিনার পতনের পরও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী–বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, ‘ভারতের ক্রমাগত পুশইন আমাদের জন্য আশঙ্কাজনক। দিল্লির সেবাদাস শেখ হাসিনা গদি হারিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে না পেরে হিন্দুস্তান পুশইনের আশ্রয় নিয়েছে।’

জাগপা নেতা বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পুশইনের মাধ্যমে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ভারতীয় সন্ত্রাসীদের বিএসএফ প্রবেশ করাচ্ছে।

জেলা জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, সিনিয়র সহসভাপতি মফিদার রহমান, সহসভাপতি শামসুজ্জামান নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন পাটোয়ারী, জেলা যুব জাগপার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কুয়েত, জেলা জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • “শিক্ষার শত্রু কাউছার” প্রতিবাদ সভায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ