রংপুরে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ (হাজীরহাট আমলি আদালত)–এর বিচারক সোয়েবুর রহমানের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন মাহমুদুল হকের আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন‘স্ট্রোক করে মৃত্যুর’ ১০ মাস পর হত্যা মামলা, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে২০ জুন ২০২৫

আইনজীবী শামীম আল মামুন আদালতকে বলেন, মাহমুদুল হক নির্দোষ। যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। মাহমুদুল হক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। আবু সাঈদ হত্যার পর তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।

আইনজীবীদের বক্তব্য উপস্থাপনের পর আগামী মঙ্গলবার জামিন শুনানির আদেশ দেন আদালত। পরে আদালত চত্বরে আইনজীবী শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, মাহমুদুল হকের জামিন শুনানির আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন। ২৪ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুনজুলাই অভ্যুত্থানে প্রতিবাদী শিক্ষক কেন কারাগারে, প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের১৬ ঘণ্টা আগে

এ সময় আদালতে উপস্থিত মাহমুদুল হকের স্ত্রী মাসুদা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, আজ তাঁকে সসম্মানে বাড়িতে নিয়ে যাব। কিন্তু হলো না। আমরা আদালতের কাছে ন্যায্যবিচার চাই। বিচার না পেলে আমরা কোথায় যাব, কার কাছে যাব?’

এদিকে মাহমুদুল হকের জামিন শুনানির খবর শুনে সকাল ১০টা থেকে আদালত চত্বরে জড়ো হন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘জুলাই নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘মাহমুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, ‘জুলাই নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। জামিন শুনানির তারিখ দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনরোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গ্রেপ্তারের ঘটনায় সেই ওসির বদলি২ ঘণ্টা আগে

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা মাহমুদুল হক রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে ৩ জুন হাজীরহাট থানায় ৫৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নগরের রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম। মামলার ৫৪ নম্বর আসামি মাহমুদুল হক।

আরও পড়ুন‘বাচ্চা প্রশ্ন করছে—আমার বাবার কী অপরাধ, আমি কী বলব তাকে’২০ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাজশাহীতে ফরিদুল ইসলাম খান নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ পরিদর্শককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোসা. মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।

ফরিদুল ইসলাম খান সবশেষ রাজশাহীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি অবসরে গেছেন। বর্তমানে রাজশাহী নগরের বড়কুঠিপাড়া মহল্লায় বাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সুবর্ণগাতি গ্রামে।

দুদকের রাজশাহীর আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা জানান, ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৪ সালে ফরিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

আরো পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের বাবাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ

সোমবার মামলার ধার্য্য তারিখে ফরিদুল ইসলাম খান আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না, লেনদেনে ট্রাম্প ভরসা করার মতো লোক নন
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের ওপর আদেশ এক দিন পেছাল
  • দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আসামিদের আপিল শুনানি চলছে
  • নালায় পড়ে নারীর মৃত্যু: দায়িত্বে অবহেলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি চেয়ে রিট
  • দুদকের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে
  • শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের একই আইনজীবী নিয়ে বার্গম্যানের প্রশ্ন